শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্না বধূর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পণ হিসাবে দেওয়া জিনিসপত্র ফেরানোর দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বধূ। শনিবার কালীগঞ্জ থানার পলাশী মাঠপাড়া এলাকায় ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বধূর সঙ্গে তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনও বিক্ষোভ দেখান। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির দরজা না খোলায় বাইরেই তাঁরা ধর্নায় বসে যান। শেষে দুপুর নাগাদ গৃহবধূ এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন সেখান থেকে বেরিয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে ফাহমিদা বীথির বিয়ে হয়। তাঁর দাবি, বিয়ের সময় পণ নিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। এই নিয়ে ওই বধূ থানায় অভিযোগ করেন। তার পর তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। পণের জিনিস ফেরত চেয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত শ্বশুরবাড়ির লোককে সে সব জিনিসপত্র ফাহমিদাকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আদালতের সেই নির্দেশের পরে শনিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের জিনিস ফেরাতে গিয়েছিলেন ফাহমিদা। তাঁর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও জিনিসপত্র ফেরাননি স্বামী এবং তাঁর পরিবারের লোকজন। বধূর কথায়, ‘‘কোর্টের অর্ডার নিয়ে আমি আমার জিনিসপত্র নিতে এসেছি। কিন্তু ওঁরা কেউ দিচ্ছেন না। আমার জিনিসপত্রের রং বদলে ফেলা হয়েছে। আমার বাপের বাড়ি থেকে খাট, আলমারি, শোকেস, সোনার গয়না-সহ বহু জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল। আমি চাই সেগুলি আমাকে ফেরত দেওয়া হোক।’’
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগেও ওই গৃহবধূ তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নিজের জিনিস ফেরত চেয়েছিলেন। এর পর জিনিসপত্র ফেরত নেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশ নিয়ে উপস্থিত হন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন সেই জিনিসপত্র ফিরিয়ে দেননি বলে অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy