গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
এলাকার ভাঙন দেখতে এসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদের পুত্র সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান ও তাঁর সঙ্গীরা। সোমবার দুপুরে তাঁরা শমসেরগঞ্জের ধানগড়ায় আসেন।
সেখানে ভাঙন চলছে প্রায় মাস খানেক থেকে। গত সপ্তাহে ভাঙন এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে ভাঙনের ধাক্কায় নদী পাড়ের কয়েকশো বিঘে জমি, বাগান নদী গর্ভে গিয়ে ভাঙন ঢুকে পড়ে গ্রামের মধ্যে। আতঙ্কে পাড়ের ধারে তৈরি শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে চলে যেতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তারা অনেকেই এখন ত্রিপলের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ বা স্কুল বাড়িতে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও সিপিএমের প্রতিনিধিরা এলাকায় ঘুরে গিয়েছেন। মানুষ জনের এই দুরবস্থা দেখতেই সাংসদ আবু হাসেম খানের প্রতিনিধি হিসেবে তার বিধায়ক পুত্র এসেছিলেন সোমবার দুপুরে।
কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশ ভাঙন কবলিত এলাকায় সাংসদের প্রতিনিধিরা ‘এত দিন পরে কেন এলেন’ এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
সুতি ২ ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাসও এদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতারা ঘটনাস্থলে আসেন। এটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। ধানগড়াতেও সব দলের নেতারাই এসেছেন। কংগ্রেস সাংসদও তাঁর প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন। তৃণমূলের নেতাদের উস্কানিতে তাদের হেনস্থার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে তাঁরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ফিরে যান।’’ তৃণমূল অবশ্য এই বিক্ষোভের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে।
ইশা খান বলেন, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েরই দায়িত্ব রয়েছে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করা। কিন্তু কেউই কোনও কাজ করছেন না। যার ফলে দুর্ভোগে রয়েছেন মানুষ। এরা ঘর বাড়ি হারিয়েছেন। এদের পুনর্বাসনের জন্য জমির ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
ধানগড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ত্রাণও সেভাবে এখনও জোটেনি। একটি ত্রিপল, কিছু চাল, ডাল দেওয়া হয়েছে মাত্র। কিন্তু মূল সমস্যা থাকার জায়গার। তার কী হবে?’’
এই এলাকায় ভাঙন ঠেকানোর দায়িত্ব রাজ্য সেচ দফতরের। রাজ্য সেচ দফতরের রঘুনাথগঞ্জ ডিভিসনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র কল্পরূপ পাল জানান, ধানগড়ায় ভাঙন ঠেকাতে অস্থায়ী ভাবে কাজ চলছে। ভরা গঙ্গায় এখন স্থায়ী ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। জল কমলে ধানগড়ায় ৬০০ মিটার এলাকার পাথর দিয়ে স্পার নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy