প্রতীকী ছবি।
সন্ধেয় টেলিভিশনে আইপিএল শুরু হওয়ার আগে থেকেই বেলডাঙা বা তার কাছাকাছি এলাকায় দেখা যাচ্ছে কোথাও কোথাও যেন গুপ্ত সভা বসেছে! একটু খেয়াল করলে বোঝা যায়, সে সব আসলে জুয়ার চক্র। আইপিএল নিয়ে জুয়ার আসর বসেছে। বেলডাঙা কোচিং ক্যাম্পের সম্পাদক আরফাত শেখ বলেন, ‘‘গ্রাম, শহরের অনেক চায়ের দোকান, ক্লাবে আইপিএল নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে। পেছনে জুয়া, বেটিং চলছে। আমাদের এলাকায় জুয়োয় হেরে সাংসারিক অশান্তি চোখে দেখলাম। সামাজিক ভাবে এটা কাম্য নয়।’’ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি বলেন, “ক্রিকেট জুয়া বে-আইনি। আমরা একে সমর্থন করি না। পুলিশ প্রশাসন নজরদারি বাড়িয়ে যেখানে জুয়ো চলছে সেই ঠেকে হানা দেবে। তবে এখন হাতে হাতে মোবাইল। সেই মোবাইলে কে আইপিএল খেলা দেখছে আর কে বুকিদের নির্দেশ ফলো করছে, সেটা আলাদা করা খুব কঠিন। ফলে অনলাইন জুয়া রুখতে আরও সতর্কতা বাড়াতে হবে।”
কী ভাবে চলছে এই জুয়া? স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। দল, খেলোয়ারকে দেখে বাজি লাগান হচ্ছে। জিতলে ছক্কা, না হলে ফক্কা। তবে অফলাইনেও জুয়া চলছে। ক্রিকেট জুয়ার সঙ্গে যুক্ত এক যুবক বলেন, “জিতলে এক হাজারে পনেরোশো। ফলে মূল টাকার থেকে পাঁচশো টাকার বেশি ফেরত আসছে। পাঁচ হাজার টাকায় আসছে সাত হাজার পাঁচশো। সঙ্গে মূল বিনিয়োগের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে বা নগদে বিনিয়োগ করা যাচ্ছে। চলছে টাকা ট্রান্সফার।” পাণ্ডারা থাকে সিগন্যালের অপেক্ষায়। সেই লিঙ্ক বা সিগন্যাল দিয়েই অপারেট হচ্ছে জুয়া। বুকিরা তাদের এজেন্ট মারফৎ এই আসরগুলো পরিচালনা করছেন বলে দাবি জুয়ার সঙ্গে যুক্ত যুবকদের। কোন দল বা প্লেয়ারের একটা দাম লাগান হচ্ছে খেলায় আগে। খেলার পর জিতলে টাকা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার জুয়ার হার বৃদ্ধি পায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলা ছিল বলে।
জেলা পুলিশ সুপার কে শরবী রাজকুমার বলেন, “ক্রিকেট জুয়ায় পুলিশি নজরদারি চলছে। সেটা আরও বাড়ান হচ্ছে। টেকনিক্যাল দিক আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। যাতে অপরাধীদের হাতেনাতে ধরা যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy