Advertisement
E-Paper

Murder: স্ত্রীকে খুন করে সিঁড়ির নীচে পুঁতে রেখেছি, নেশার ঘোরে বলে ফেলেন রবীন্দ্রনাথ

নদিয়ার ধানতলা থানার শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ। মদ, জুয়ায় আসক্ত। প্রতিবেশীরাও তাঁর এই স্বভাবের কথা জানেন। বছরখানেক আগে তৃতীয় বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথ। নেশা করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে তৃতীয় স্ত্রী রিম্পার প্রায়ই ঝামেলা হতে শুরু করে।

সিঁড়ির নীচে খুঁড়ে মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

সিঁড়ির নীচে খুঁড়ে মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২২ ১৮:২১
Share
Save

স্ত্রীকে খুন করে সিঁড়ির নীচে পুঁতে রেখেছেন। নেশার ঘোরে মুখ ফস্কে বন্ধুদের কথাটা বলে ফেলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ রায়। প্রথমে তাঁর কথা বিশ্বাস করতে চাননি বন্ধুদের কেউই। ভেবেছিলেন নেশা করে ভুলভাল বকছেন হয়তো। তবে গোপন কথাটা বলে ফেলেই রবীন্দ্রনাথের মুখের ভাবখানা যে বদলে গিয়েছিল সেটা লক্ষ্য করেছিলেন বন্ধুদের কয়েক জন। এর পর বিষয়টি নদিয়ার ধানতলা থানায় জানান তাঁরা। অন্য দিকে, নেশা কাটতেই রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন বড় গন্ডগোল করে ফেলেছেন। এবং সেটি আঁচ করতে পেরেই আর দেরি না করেই গা ঢাকা দেন।

নদিয়ার ধানতলা থানার শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ। মদ, জুয়ায় আসক্ত। প্রতিবেশীরাও তাঁর এই স্বভাবের কথা জানেন। বছরখানেক আগে তৃতীয় বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথ। নেশা করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে তৃতীয় স্ত্রী রিম্পার প্রায়ই ঝামেলা হতে শুরু করে। দিন পনেরো আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। তার পর থেকে রিম্পার আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি বলে দাবি প্রতিবেশীদের। কিন্তু বৃহস্পতিবারই বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। খবর পেয়েই পুলিশ রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে আসে। সঙ্গে ছিলেন রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। সিঁড়ির নীচে খোঁড়াখুড়ি শুরু করতেই এক মহিলার দেহ বেরিয়ে আসে। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করার পর দেহ লোপাটের জন্য সিঁড়ির নীচে পুঁতে রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তার পর দেহ লোপাটের জন্য কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে তার উপর শৌচাগার তৈরি করেন। রবীন্দ্রনাথের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

তিন বিয়ে রবীন্দ্রনাথের। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, প্রথম দুই স্ত্রীকে প্রচণ্ড মারধর করতেন তিনি। যার জেরে নিত্য দিন অশান্তি লেগে থাকত। ওই দু’জনকে তাড়িয়েও দেন, এমনটাই দাবি প্রতিবেশীদের। এক প্রতিবেশী বলেন, “পাড়ার লোকের সঙ্গেও ঝামেলা করতেন রবীন্দ্রনাথ। কারও সঙ্গে সদ্ভাব ছিল না, ওঁর ওই স্বভাবের জন্য। আগে বাইরে থাকতেন। তার পর গ্রামে ফিরে প্রথমে একটি বিয়ে করেন। কিছু দিন পর সেই স্ত্রীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। পরে আরও একটি বিয়ে করেন। তাঁর সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল।” ওই প্রতিবেশী আরও জানান, কোনও স্থায়ী কাজ করতেন না রবীন। যখন যা পেতেন তা-ই করতেন। সঙ্গে সমানতালে চলত নেশা করা। ফলে রবীনের বাড়ির দিকে প্রতিবেশীরা কেউ একটা যেতেন না। ওঁর সঙ্গে কেউ বিশেষ কথাও বলতেন না।

Ranaghat dhantala Murder

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}