সীমান্তমুখী রাস্তায় শরণার্থী-স্রোত ইউক্রেনে। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু আমেরিকা-ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া বা মলডোভা নয়, যুদ্ধ শুরুর পরে ইউক্রেনের বহু নাগরিক পালিয়ে গিয়েছেন আক্রমণকারী রাশিয়া এবং বেলারুশেও! ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সম্পর্কে এমনই তথ্য দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মূলত ইউক্রেনের ছ’টি শহর থেকেই প্রতিবেশী দেশগুলিতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন শরণার্থীরা। রাজধানী কিভের পাশাপাশি, খারকিভ, ওডেসা, খেরসন, মারিউপোল এবং চেরনিহিভের মতো বড় শহর রুশ আক্রমণের নিশানা থাকায় সেখান থেকেই নিষ্ক্রান্ত হচ্ছে শরণার্থী-স্রোত। ট্রেন, গাড়ি এমনকি পদব্রজেও বহু মানুষ পাড়ি দিচ্ছেন প্রতিবেশী দেশগুলিতে।
বিভিন্ন পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট জানাচ্ছে, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ইউক্রেনীয় আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে। সংখ্যায় তিন লক্ষেরও বেশি। এর পর রয়েছে হাঙ্গেরি, রোমানিয়া এবং স্লোভাকিয়ার মতো দেশ। পাশাপাশি, রাশিয়ায় প্রায় ৪০ হাজার ইউক্রেনীয় চলে গিয়েছেন। ইউক্রেনে হানাদারিতে ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের সহযোগী বেলারুশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দু’হাজায়।
মূলত রুশ বংশোদ্ভূত ইউক্রেনের নাগরিকেরাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পূর্বের দিকে পাড়ি দিয়েছেন বলেন দাবি করা হয়েছে কয়েকটি রিপোর্টে। বলা হয়েছে, রুশ বাহিনীর হামলায় বেশ কিছু শরণার্থী নিহতও হয়েছেন ইতিমধ্যে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারের দ্বিপাক্ষিক শান্তি বৈঠকে কিভ-সহ কয়েকটি শহরের নাগরিকদের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy