প্রতীকী ছবি।
আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির খবর আসছে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তাতে দলীয় কর্মী-সদস্যদের নাম অনেক জায়গায় জড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।
পাকা বাড়ি রয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। অথচ, তাঁর স্ত্রী ও বাবার অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে ক্ষতিপূরণের টাকা! ঘটনাটি তেহট্ট-১ ব্লকের বেতাই-১ পঞ্চায়েতে ১৮০ নম্বর বুথে। খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী, এমনকি তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকেরাও। ওই সদস্যের বাড়িতে তদন্তেও এসেছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঝড়ে গ্রামের বহু দরিদ্র মানুষের কাঁচা ঘর ভেঙেছে, কিন্তু অসহায় মানুষদের বদলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিঠুন বিশ্বাসের স্ত্রী রীতা বিশ্বাস ও তাঁর বাবা নিতাই বিশ্বাসের দু’টি অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের মোট ৪০ হাজার টাকা চলে এসেছে। অভিযোগ, কোনও ভাবেই তাঁদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা নয়। কারণ, পঞ্চায়েত সদস্যের শক্তপোক্ত পাকা বাড়ি ও সচ্ছল পরিবার।
পঞ্চায়েত সদস্য মিঠুন বিশ্বাস ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী ও বাবার অ্যাকাউন্টে ঘর মেরামতের যে টাকা ঢুকেছে তা আমি ফেরত দিয়ে দেবো।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘আমাকে প্রধান সাহেব সে দিন রাত ১১ টার দিকে ফোন করে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিতে বলেন। তখন তাড়াতাড়িতে স্ত্রী ও বাবার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিলাম। আমার কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’’ এই বিষয়ে বিডিও অফিস থেকে প্রতিনিধি এসে ইতিমধ্যে খোঁজখবর নিয়ে গিয়েছেন। বেতাই-১ পঞ্চায়েত প্রধান বুড়িবালা সর্দার বলেন, ‘‘শুনেছি ব্লক অফিস থেকে আধিকারিকেরা এসে পঞ্চায়েত সদস্য মিঠুন বিশ্বাসের বাড়িতে তদন্ত করে গিয়েছেন। এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’’ তেহট্ট-১ এর বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠকের কথায়, ‘‘ঘটনার কথা আমার কানে এসেছে।’’
ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠল শান্তিপুর ব্লকেও। বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের পর এ বার বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েতে অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত সদস্যরা অনেকেই নিজেদের পরিচিত এবং পরিবারের সদস্যদের নাম তালিকায় দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে শুক্রবার পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের বাড়ি বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নমিতা দাস বলেন, ‘‘আমাদের পঞ্চায়েতে ২০ জন সদস্য। ৬০ জনের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছিল প্রশাসন থেকে। সদস্য পিছু তিন জনের নাম পাঠানো হয়েছে। ঠিক হয়েছিল এই টাকা তুলে আরও বেশি মানুষের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy