পেঁয়াজের-যত্ন: বহরমপুরের নতুনবাজারে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
কখনও কখনও চাষিও মুচকি হাসেন বইকি!
পিঙ্ক বলের (পড়ুন পেঁয়াজ) সেঞ্চুরি নিয়ে দেশ জুড়ে হইচই চলছে। হাট থেকে হেঁশেল— সর্বত্রই গেল গেল রব। চাষি শীতকালীন পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলেন কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকায়। এখন তাঁরাই বাজার থেকে সেই পেঁয়াজ কিনছেন কেজি প্রতি ১২০ টাকায়।
কিন্তু নওদা, হরিহরপাড়ার যে কয়েক জন চাষি ছক ভেঙে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন, তাঁরা এখন পেঁয়াজ বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকায়।
হরিহরপাড়ার চাষি নওসাদ আলি, নুর ইসলাম, হরিশপুরের মাধব মণ্ডল, নওদার আনন্দ হালসানারা বলছেন, ‘‘ভাগ্যিস কৃষি দফতরের কথা শুনে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। এমন দামে কখনও পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারব, ভাবতেই পারিনি। এ বার থেকে নিয়মিত বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ করব।’’
বর্ষার পেঁয়াজ চাষে চাষিদের উৎসাহিত করতে হরিহরপাড়া, নওদার বেশ কয়েক জন চাষিকে বীজ দেওয়া হয়েছিল। মাঠে এই সময় আরও কিছু দিন পেঁয়াজ থাকত। তবে বাড়তি লাভের আশায় চাষিরা তড়িঘড়ি সেই পেঁয়াজই জমি থেকে তুলে বিক্রি করছেন।
হরিহরপাড়ার সহ কৃষি অধিকর্তা মৌমিতা মজুমদার বলছেন, ‘‘ব্লকের ২৫ জন চাষিকে পেঁয়াজের বীজ, অনুখাদ্য দেওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এ বারে এই চাষে লাভ দেখে আগামীতেও তাঁরা বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ দেখাবেন বলেই আমাদের আশা।’’
জেলা উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তাপসকুমার কুণ্ডু বলেন, ‘‘জেলায় গড়ে প্রতি বছর প্রায় ন’হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। তবে তা শীতকালীন পেঁয়াজ। এ বার বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে চাষিদের উৎসাহিত করতে বীজ, অনুখাদ্য ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’’
চাষিরা এ বার বর্ষার পেঁয়াজে আস্থা রাখেন কি না সেটাই দেখার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy