গঙ্গার গ্রাসে: ফরাক্কার কুলিদিয়ারে। নিজস্ব চিত্র
ফের ভাঙনের কবলে ফরাক্কার কুলিদিয়ার ও মুস্কিনগর। জল বাড়ার কারণে স্পার ধসেছিল মাস দেড়েক আগে। এ বার জল কমতেই ফের ভাঙনের কবলে পড়ল কুলিদিয়ার। বৃহস্পতিবার থেকে দু’দিনের এই ভাঙনে প্রায় দেড় হাজার গাছ-সহ বেশ কয়েক জনের বাড়িও ধসেছে। দেড় মাস আগে পাকা বাড়ি ধসে যাওয়ায় কিছুটা পিছনে সরে গিয়ে অনেকেই অস্থায়ী ঘর তৈরি করেছিলেন। দেড় মাসের মধ্যে ফের ভিটে ছাড়া হতে হল তাঁদের।
তাঁদেরই এক জন হৃদয় মণ্ডল বলছেন, ‘‘নিম, শিশু, শাল, কাঁঠাল-সহ প্রায় ২৪০টি গাছ আমারই চোখের সামনে ধসে গেল। নিজের বাড়ি বাঁচাব না গাছ?” কুলিদিয়ারের আর এক বাসিন্দা বলছেন, ‘‘চরের জমি উর্বর। খুব দ্রুত বেড়ে উঠেছিল গাছগুলি। এই সব গাছ ছ’-সাত বছর অন্তর ভাল আয় দেয়। সব শেষ হয়ে গেল।” রাজ্য সেচ দফতরের রঘুনাথগঞ্জ ডিভিসনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কল্পরূপ পাল জানান, জল বৃদ্ধির ফলে পাড়ের মাটিতে জল ঢুকে পড়ে। জল কমে গেলে পাড়ের মাটির সেই জল মাটি নিয়ে ধসে পড়ে নদীতে। এটাই ভাঙনের চরিত্র। তাই বালির বস্তা বা বাঁশের ঝাড় কাজে আসছে না। অন্য দিকে, ফরাক্কার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুস্কিনগর গ্রামেও শুক্রবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গার ভাঙন। ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে পাঁচটি গ্রামের যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা।
২০০৪ সালে গঙ্গার বাঁধের উপর এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়। রাস্তার সঙ্গে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত। স্থানীয় বাসিন্দা লাল মহম্মদ, সীতারাম সরকার, আলি হোসেনদের অভিযোগ, ‘‘গঙ্গার বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার কারণেই বারবার ভাঙন হচ্ছে।’’ ফরাক্কার বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy