ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। — ফাইল ছবি।
মুর্শিদাবাদের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে শুক্রবার তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসেছিলেন। ওই বৈঠকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের নেতানেত্রী, বিধায়ক, সাংসদেরা। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, বৈঠকে গরহাজির ছিলেন ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। ঘটনাচক্রে, খুব সম্প্রতি এই জাফিকুলের বাড়ি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।
গত বছর ৩০ নভেম্বর বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি এবং তাঁর মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হানা দিয়েছিল সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর নগদ ৩০ লক্ষ টাকা, কিছু গয়না এবং নথি নিয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। তার পর থেকে অবশ্য জাফিকুলের বাড়িতেও আর তল্লাশি হয়নি, সিবিআই তাঁকে ডেকেও পাঠায়নি। এই পরিস্থিতিতে জাফিকুলের জন্মদিন পালন ঘিরে জাঁকজমক বিতর্কের কারণ হয়ে ওঠে। এলাকার তৃণমূলকর্মীদের একাংশের দাবি, তার পর মাত্র একটি সভাতেই ‘দাদা’কে দেখা গিয়েছে। বাকি সময় দেখা মেলেনি জাফিকুলের। দলের পার্টি অফিসে নিত্য তাঁর দেখা মিলত। ইদানীং সেখানেও তাঁর দেখা মিলছে না বলেই জানাচ্ছেন রোজ পার্টি অফিসে আসা নেতা, কর্মীরা। হলটা কী জাফিকুলের? শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে সেই জল্পনাতেই আরও ইন্ধন জোগালেন ডোমকলের তৃণমূলের বিধায়ক।
কালীঘাটের বৈঠক থেকে বেরিয়ে মুর্শিদাবাদের নেতাদেরও একই প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাঁদের কেউ সরাসরি জবাব এড়িয়েছেন, কেউ আবার মুচকি হেসেছেন। মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান কেবল প্রশ্নের সুরে বলেন, ‘’৯৯ জন উপস্থিত থাকলেন। একজন অনুপস্থিত থাকলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy