প্রতীকী ছবি।
ডায়ালিসিস চলাকালীন গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত এক রোগীর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ১১ জুলাই তাঁর ডায়ালিসিসের পর একই ইউনিটে এবং একই যন্ত্রে আরও অনেক রোগীর ডায়েলিসিস হয়েছে। ওই রোগীদের দ্রুত খুঁজে বার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ওই ডায়ালিসিস ইউনিট সংক্রমণ মুক্ত করে দু’দিন বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও এই নির্দেশ কতটা মানা সম্ভব সে সম্পর্কে সন্দিহান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ জুলাই পূর্ব বর্ধমানের নতুনহাট থানার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের বছর পঞ্চাশের ওই বাসিন্দার ডায়ালিসিস চলছিল। সেই সময়ে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। খানিক পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা মৃতের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠান। আটকে রাখেন মৃতদেহটিও। ১৩ জুলাই, সোমবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এর পরেই ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডায়ালিসিস ইউনিট সংক্রমণ মুক্ত করা হয়। ওই রোগীর পরে আর যাঁদের ডায়ালিসিস করা হয়েছে, তাঁদের পুরো ঠিকানা-সহ তালিকা এবং ওই দিন হাসপাতালে যে সব কর্মী ও চিকিৎসক ছিলেন তাঁদেরও তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রানাঘাট মহকুমাশাসক হরসিমরন সিংহ বলেন, “এঁদের সকলেরই লালারসের নুমানা পরীক্ষা করা হবে। ওই ডায়ালিসিস ইউনিট দু’দিন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”
কিন্তু ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রচুর মানুষ ডায়ালিসিসের জন্য তাঁদের ইউনিটের উপরে নির্ভরশীল। প্রায় তিনশো রোগীর অপেক্ষায় আছেন। তাঁরা বিপদে পড়ে যাবেন। এই নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা ডায়ালিসিসিসের ক্ষেত্রে আরও কড়া অবস্থান নিতে চাইছেন। তাঁদের বক্তব্য, এমনিতেই ডায়ালিসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে করোনা অত্যন্ত বিপজ্জনক। মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই আগে তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করে নিতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই সাধারণ ইউনিটে তাঁদের ডায়ালিসিস করা যাবে। কোভিড রোগীর ডায়ালিসিস প্রয়োজন হলে একটি নির্দিষ্ট যন্ত্রে আলাদা ভাবে তা করতে হবে।
এর আগেও রানাঘাটের এই বেসরকারি হাসপাতালের এক নার্সের করোনা ধরা পড়েছিল। তাঁর সংস্পর্শে আসা কর্মীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে সকলেরই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন আবার নতুন করে ঝুঁকি তৈরি হল। তবে রানাঘাট হাসপাতালে ওই রোগীকে ভর্তি করা হলেও কোনওও চিকিৎসক, নার্স বা কর্মীর লালারস পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলেই কর্তাদের দাবি। মহকুমাশাসক বলেন, “রানাঘাট হাসপাতালের এক জন মাত্র চিকিৎসক ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। তবে তিনি আগে থেকেই সব রকম ভাবে প্রস্তুত ছিলেন। তাই তাঁর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy