—প্রতীকী চিত্র।
সেনাবাহিনীতে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন বাবুসোনা গনাই। বর্তমানে তিনি হরিদাসমাটি অঞ্চলের বাসিন্দা। দেশের নানা প্রান্তরে ঘুরে আজ তাঁর আস্তানা মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহর লাগোয়া হরিদাসমাটিতে। কিন্তু প্রাক্তন সেনাকর্মী এখন ভুগছেন জল কষ্টে। তাঁর মতো ভুগছেন আরও অনেকেই। বাড়ির টিউবয়েলে জল ওঠে না। বাড়ির পাম্প মেশিনেও জল ওঠে না। এমনকি পিএইচই-র মাধ্যমে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বসানো হয়েছে যে জলের কল তা থেকেও জল পাচ্ছেন না হরিদাসমাটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। তীব্র এই গরমের মধ্যে কল থেকে পড়ে না প্রয়োজনীয় জল। সেই কারণেই জলের তীব্র সঙ্কটে ভুগতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা অলক সরকার জানান, ‘‘গত বছর তাও পাম্প চালিয়ে জল উঠছিল, এ বছর ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাম্প চালালেও জল উঠছে না।’’ পিএইচই-র মাধ্যমে প্রতি বাড়িতে যে জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে তা থেকেও ঠিক মতো জল পাচ্ছেন না তারা, বলে তিনি জানান। নিত্য দিনের বাড়ির ব্যবহারিক জল নিতে রাস্তার ধারে বসানো পিএইচই-র জলই ভরসা পুতুল দাসের। তবে সেখানেও পড়ছে লম্বা লাইন। স্নানের জন্য অনেক বাসিন্দাদেরকেই গঙ্গাতে যেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। বাড়ি থেকে আটশো মিটার দূরত্ব গঙ্গার, তবুও এমন জল কষ্টে ভুগতে হচ্ছে তাঁদের বলে জানান পুতুল দাস। স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, পিএইচই যদি সময় মতো জল দেয়, তা হলে তারা প্রত্যেকেই এই তীব্র দাবদাহে জল কষ্টের হাত থেকে রেহাই পাবেন। যদিও, পিএইচই দফতর থেকে জানানো হয়, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান চন্দনা মণ্ডল জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে এলাকায় ঘুরে জলের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলের সদস্য কংগ্রেস নেতা গোপাল হালদার জানান লোকসভা ভোটের পর তাঁরা এ বিষয়ে আন্দোলনে নামবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy