Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Domkol

ভোটের মুখে ‘দুয়ারে’ সিপিএম

লোকসভা নির্বাচনে একেবারে ভরাডুবি হয়েছে সিপিএমের এই আসনেই। একেবারে তিন নম্বরে চলে গিয়েছে সিপিএম। তাই নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বামেরা। আর তা করতেই, ডোমকলে মাস কয়েক ধরে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন স্থানীয় নেতারা। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস
ডোমকল শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১৩
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তাদের। বিধানসভায় জেতা আসন লোকসভার ভোটের নিরিখে টলনলে অবস্থা। দলের এই রক্তক্ষরণ আটকাতেই নতুন করে পথে নেমেছে সিপিএম। হারানো জনসংযোগ ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই তাই বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর কাজ শেষ করেছে তারা। আর, এ ব্যাপারে অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে তারা কিঞ্চিৎ এগিয়ে, এমনই দাবি ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমের।

এ ব্যাপারে দলের প্রায় বসে যাওয়া কর্মীদের সংগঠনের কাজে লাগাতেও নতুন করে মরিয়ে হয়ে উঠেছে দলীয় কর্মীরা। এক সময়ে দলের ছাত্র সংগঠনের জেলা সম্পাদক বর্তমানে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রবীণ নেতা নারায়ণ দাস বলছেন, ‘‘দিনরাত এক করে ছুটছি, এখন এই টালমাটাল অবস্থায় মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।’’ তাঁদের দাবি, দল ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরে যাঁরা কংগ্রেস কিংবা তৃণমূলে ভিড়ে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই আবার নতুন করে উৎসাহ দেখাচ্ছেন, ফিরতে চাইছেন পুরনো প্রতীকে। মাঢের একটি বিধানসভা ছাড়া আগাগোড়াই ডোমকল দখলে আছে সিপিএমের, ফলে রাজ্য জুড়ে লাল দুর্গ হিসেবে পরিচিতি ডোমকল। সিপিএম ক্ষমতায় থাকাকালীন বরাবরই ডোমকল থেকে স্থান হয়েছে স্থানীয় বিধায়কের। ফলে আর যাই হোক বিধানসভা নির্বাচন মানেই ডোমকলের ভেসে আসে সিপিএমের সেই পুরনো নাম। এমনকি শাসকদলের প্রভাবশালী প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও গত নির্বাচনে বামেদের কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু তারপরেও বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনে একেবারে ভরাডুবি হয়েছে সিপিএমের এই আসনেই। একেবারে তিন নম্বরে চলে গিয়েছে সিপিএম। তাই নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বামেরা। আর তা করতেই, ডোমকলে মাস কয়েক ধরে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন স্থানীয় নেতারা।

মোস্তাফিজুর বলছেন, ‘‘সাধারণ মানুষের দুয়ারে যাওয়ার কাজ আমাদের প্রায় শেষ। এখন যে কর্মীরা মনখারাপ করে বসে ছিলেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি আমরা। বুথ কমিটি অঞ্চল কমিটি তৈরীর কাজ চলছে, ভাল সাড়াও মিলছে তাতে। সাড়া দিচ্ছে মানুষও।’’ জেলা নেতাদের দাবি, এ কাজে তাদের বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসকদলের ‘দুর্নীতি’ এবং বিজেপি’র ‘ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি’। দলের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নারায়ণ দাস বলছেন, ‘‘দেখবেন, মানুষ আবার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, এটাই ইতিহাসের নিয়ম।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Domkol West Bengal Assembly Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy