সুবিধাজনক জায়গায় কংগ্রেস এবং সিপিএম প্রতীকী চিত্র।
সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ের প্রতিফলন পড়শি জেলা নদিয়ার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পড়বে বলে মনে করছেন প্রায় ‘সাইনবোর্ড’ হয়ে যাওয়া কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে উত্তর নদিয়ার সংখ্যালঘু এলাকায় ভাল ফলের আশা করছেন তাঁরা, বিশেষত যদি এ বারও বামেদের সঙ্গে জোট হয়। গত লোকসভা ভোটে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কালীগঞ্জ, পলাশিপাড়া ও চাপড়া বিধানসভা এলাকার বিপুল ‘লিড’ কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করেছিল। এর পর বিধানসভা নির্বাচনেও সংখ্যালঘু ভোট রাজ্যের শাসক দলের মুখরক্ষা করেছে। জেলার দক্ষিণে তো বটেই, উত্তরেও কৃষ্ণনগর শহরের মতো যেখানে সংখ্যালঘু ভোট কম, সেখানে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের ফল স্পষ্টই ইঙ্গিত করছে যে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক আর অক্ষত নেই, বরং তা কংগ্রেস এবং বামেদের দিকে সরে গিয়েছে। নদিয়াতেও ইতিমধ্যে সেই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি একাধিক সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করেছে সিপিএম।
তবে বাম-কংগ্রেসের পক্ষে অঙ্কটা সহজ নয়। গত লোকসভা নির্বাচনে যেখানে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূল ছয় লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছিল, সেই জায়গায় সিপিএম পায় লাখখানেক, কংগ্রেস ৪০ হাজারও নয়। বিধানসভা নির্বাচনেও এই অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। তবে নদিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহার দাবি, “সাগরদিঘির ফল আমাদের সামনে রাস্তা খুলে দিল। প্রমাণ হয়ে গেল যে মানুষ আবার কংগ্রেসকে বিকল্প বলে দেখতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত ভোটে যদি বাম-কংগ্রেস সাগরদিঘির মতো কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে লড়তে পারে, মানুষ আমাদেরই জয়ী করবে।”
সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাসের মতে, “এর আগে তেহট্টের সমবায় সমিতির ভোটেই মানুষের মন পরিবর্তনের ঈঙ্গিত মিলতে শুরু করেছিল। সাগরদিঘির ফল নদিয়ায় ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।”
উদ্বাস্তু ও মতুয়া অধ্যুষিত দক্ষিণ নদিয়ায় বিজেপির প্রভাব থাকলেও, এই মুহূর্তে জেলায় বাম-কংগ্রেসের হাতে থাকা একমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত পায়রাডাঙার কংগ্রেস প্রধান বিজয়েন্দু বিশ্বাসের দাবি, "সাগরদিঘির মানুষ যে ভাবে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিয়েছেন, এই জয় নিশ্চিত ভাবে আমাদের অক্সিজেন জোগাবে।”
যদিও বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদারের মতে, “নদিয়ার ভোট সাগরদিঘির সঙ্গে মেলালে চলবে না।” তবে তৃণমূলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, “একেবারে পাশের জেলায় এই ফল হয়েছে। আমাদের জেলায় প্রভাব পড়ার সম্ভবনা থেকেই যায়। তবে আমরাও তার মোকাবিলার জন্য সর্বতো ভাবে প্রস্তুত হচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy