উদ্ধার হওয়া সিরাপ। ফরাক্কায়। —নিজস্ব চিত্র।
কখনও টোটো, কখনও মোটরবাইক, কখনও আবার চার চাকা। বাহন বদলে যাচ্ছে। কিন্তু সীমান্তে কাশির সিরাপ পাচারে লাগাম টানা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার রানিনগর ও ফরাক্কা থেকে প্রায় ২৭০০ বোতল কাশির সিরাপ উদ্দার করল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে দু’জন। ধৃত বাচ্চু প্রামাণিক ও বিজব মাহাতো নদিয়ার হোগলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষায় সীমান্তে পাচারের রমরমা কিছুটা বেড়ে যায়। নজরদারি বাড়ায় বিএসএফ ও পুলিশও। কিন্তু পুলিশ ও বিএসএফের চোখকে ফাঁকি দিতে কোনও চেষ্টা বাকি রাখে না পাচারকারীরা। পুলিশ ও বিএসএফের দাবি, কাঁটাতারের কারণে গরু পাচারে কিছুটা লাগাম পড়লেও গাঁজা, কাশির সিরাপের মতো ছোট সামগ্রীর উপরে জোর দিয়েছে পাচারকারীরা। কখনও ‘প্রেস’ কিংবা ‘পুলিশ’ লেখা গাড়ি, কখনও সাদা অ্যাম্বাসাডর কিংবা স্করপিও, কখনও আবার আটপৌরে টোটো ব্যবহার করা হচ্ছে পাচারের কাজে।
ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘নদিয়ার ওই দু’জন কাশির ৩০০ বোতল কাশির সিরাপ নিয়ে মোটরবাইকে রানিনগর সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় রানিনগর থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। সঙ্গে থাকা মোটরবাইকটি আটক করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, মালদহ থেকে বহরমপুরের দিকে যাওয়ার পথে ফরাক্কায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ২৪০০বোতল ফেনসিডিল বোঝাই একটি বোলেরো গাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ফরাক্কা মোড়ে গাড়িটিকে দাঁড় করাতেই চালক পালিয়ে যায়। গাড়িতে মেলে ন’টি পেটিতে রাখা কাশির সিরাপ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বোলেরো গাড়ির নম্বরও ভুয়ো। সেটি দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি বাসের নম্বর। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy