প্রতীকী ছবি
কেরলের এর্নাকুলাম থেকে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সড়কপথে ‘লাশ’ হয়ে ফিরছেন আসিফ ইকবাল মণ্ডল। সঙ্গে তাঁর পিঠোপিঠি ভাই আনোয়ার। কেরলে কাজের খোঁজে আসিফের সঙ্গে কেরলের ওই অজ গাঁয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন অন্য যাঁরা, তাঁরা অবশ্য লকডাউনের ঘেরাটোপ এখনই ডিঙোতে পারছেন না। তবে আনোয়ার বলছেন, ‘‘ঘরে না-ফিরতে পেরে মন মানছিল না, তা বলে ভাইয়ের লাশ ঘরে পেরার সুযোগ করে দিল, এর চেয়ে কষ্টের আর কীই বা হতে পারে!’’
বাড়ি ফিরতে না পেরে উৎকণ্ঠা থেকেই বছর বাইশের সদ্য তরুণ আসিফ আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি। আজ, সোমবার রাতে অ্যাম্বুল্যান্সে আসিফের দেহ নিয়ে তাঁরা ডোমকলে পৌঁছতে পারেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ার। দাদা ও ভাই এর্নাকুলমের কডনরে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। কেরল থেকে ফোনে সেই ইটভাটার কাজের ঠিকাদার সারিকুল মণ্ডল বলেন, ‘‘২১ মার্চ থেকে কাজ বন্ধ। গোড়ায় মালিক চাল দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন ক্রমশ খাওয়ার কষ্টও বাড়ছিল। েয যেমন পেরেছে, খাবার কিনে খেয়েছে।’’ সারিকুল-আনোয়ারেরা বলছেন, আসিফের টাকা ফুরিয়ে এসেছিল। কী ভাবে ফিরবেন, তা বুঝতে পারছিলেন না। এই সব নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। আনোয়ারের কথায়, ‘‘দাদা সব সময় মনমরা হয়ে বসে থাকত। আমি দাদাকে একটা মোবাইল কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরেও টাকা, ভবিষ্যতের চিন্তায় একেবারে ভেঙে পড়েছিল। দু’বার ফেরার টিকিট কেটেও ফিরতে না-পারায় দাদা হতাশ হয়ে পড়েন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy