Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

শবেবরাত নিয়ে সচেতনতার বার্তা

শবেবরাতে জমায়েত করে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়। এ বারে যেন জমায়েত না হয় সেটাই আমরা বলছি। নিজামুদ্দিন বিশ্বাস জেলা ইমামইমাম-মুয়াজ্জিনদের দাবি, সচেতনতার কারণে জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ মসজিদে ৬-৭ জন করে নমাজ পড়তে আসছেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০২:২৭
Share: Save:

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দু’সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। সেই সঙ্গে সরকার জমায়েত করতে নিষেধও করেছে। জেলা প্রশাসনের পরামর্শ মেনে নমাজের সময় মসজিদগুলিতে জমায়েত কমাতে মুর্শিদাবাদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা মাঠে নেমে সাফল্য পেয়েছেন। এ বারে শবেবরাতের অনুষ্ঠান যাতে জমায়েত না হয়, সে বিষয়েও চেতনতায় নামলেন মুর্শিদাবাদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। তাঁরা জেলার মসজিদগুলির ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাধ্যমে এবিষয়ে সচেতন করা শুরু করেছেন।

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের দাবি, সচেতনতার কারণে জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ মসজিদে ৬-৭ জন করে নমাজ পড়তে আসছেন। তাঁরা, এক জন থেকে আর এক জন এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে নমাজ পড়ছেন। তেমনই শবেবরাতে যাতে লোকজন সমবেত না হয় সেবিষয়ে প্রচার চলছে। আগামী বৃহস্পতিবার শবেবরাত। তার আগেই জেলার সব মসজিদে এ বিষয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

জেলা ইমাম এবং ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য নিজামুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘শবেবরাতে প্রতি বছরই পাড়ায় পাড়ায় জমায়েত করে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এবারে যেন জমায়েত না হয় সেটাই

আমরা বলছি।’’ জেলার ইমামরা জানিয়েছেন, শবেবরাত উপলক্ষে প্রতি বছর ধর্মীয় সভা থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, হালুয়া রুটি তৈরি করে মানুষের মধ্যে বিলি বন্টন করা, সমবেত ভাবে কবরস্থানে গিয়ে প্রার্থনা করা (কবর জিয়ারত) রাতভর মসজিদে নমাজ পড়ার মতো নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তাতে প্রচুর লোকজন জড়ো হন। কিন্তু এক সঙ্গে অনেক লোক জমায়েত হলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই এ বারের শবেবরাতে লোকজন যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ধর্মীয় জমায়েত থেকে বিরত থাকেন সেই বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।

অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন ‘‘লাগাতার সচেতনতার ফলে আমরা মসজিদে জমায়েত কমাতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী, মানুষ শবেবরাতের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বাড়ি থেকেই পালন করবেন। শবেবরাত উপলক্ষে রোজা রাখতে, কোরান পড়ে দোয়া করার কথা বলছি।’’

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মসজিদ রয়েছে। ওই সব মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনদের মাধ্যমে শবেবরাতে এ বারে কী করণীয়, সে সম্পর্কে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বার্তা পাঠানো হচ্ছে। ডোমকলের বাসিন্দদা আমিনুল ইসলাম, বেলডাঙ্গা সেলিমউর রহমানরা বলেন ‘‘করোনাভাইরাস রুখতে সরকার দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা মসজিদ ছেড়ে বাড়িতেই নমাজ পড়ছি। একই ভাবে এ বারে শবেবরাতের বাড়ি থেকেই ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করব।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy