Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus Lockdown

কাঁটাতার পেরিয়ে গেল রেশন সামগ্রী

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব চিত্র

কল্লোল প্রামাণিক
করিমপুর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৪:৫৫
Share: Save:

রেশনের জন্য আক্ষরিক অর্থে আগুন জ্বলেছে পড়শি জেলায়। সেই সময়ে রেশনের দ্রব্য নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিলেন রেশন ডিলার। প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার হোগলবেড়িয়ার সীমান্তঘেঁষা গ্রাম চর মেঘনায় ১৮৭টি পরিবারকে রেশন বণ্টন করা হয়। তা পেয়ে খুশি গ্রামের লোকজন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁটাতারের ও পারের এই গ্রামে প্রায় সাড়ে নয়শো মানুষের বসবাস। এত দিন কাঁটাতারের গেট পেরিয়ে রেশন নেওয়া-সহ স্কুল, কলেজে যাওয়া কিংবা অন্য যে কোনও কাজের জন্য তাদের পরিচয়পত্র বিএসএফের কাছে নথিভুক্ত করে এ পারে আসতে হয়। এখন লকডাউন পরিস্থিতিতে সমস্ত স্কুল কলেজ, বাজার ও দোকানপাট বন্ধ। সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের রেশন দোকান থেকে এত পরিবারের পক্ষে রেশন নিয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর। তা ছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেই মতো এ দিন সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলার গাড়ি বোঝাই করে রেশনের দ্রব্য গ্রামে নিয়ে গিয়ে বিলি করেন।

চর মেঘনার বাসিন্দা শুভেন্দু বিশ্বাস জানান, অন্য সময় গ্রামের মানুষকে রেশন নিতে অনেক দূরে যেতে হত। তাতে প্রচুর সময় নষ্ট হত। এ দিন রেশন দোকান গ্রামে উঠে আসায় সব মানুষের খুব সুবিধা হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমাদের বাড়ির তিনটি রেশন কার্ডে মাথা পিছু এক মাসের জন্য সাত কিলোগ্রাম চাল ও পনেরো দিনের জন্য প্রায় দেড় কিলোগ্রাম আটা দেওয়া হয়েছে।”

গ্রামের কিনু বিশ্বাস জানান, বছরভর সীমান্তের গেটে পরিচয়পত্র দেখিয়ে দেশের মূল ভূখণ্ডে যাওয়াই নিয়ম। কিন্তু এখন করোনা সংক্রমণের কারণে সীমান্তের এ পারের মানুষদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ওপারে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রেশন ছাড়াও গত কয়েক দিনে প্রশাসন থেকে পাড়ার বাচ্চাদের বেবিফুড দিয়েছে ও স্বাস্থ্য কর্মীরা গ্রামে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গিয়েছেন। লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষ গ্রামে থেকে সরকারি পরিষেবা পেয়ে সবাই খুশি হয়েছেন।

রেশন ডিলার ব্রজেন মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশাসনের নির্দেশ মতো চরমেঘনা গ্রামে গিয়ে দ্রব্য বিলি করা হয়। ওই গ্রামের ১৮৭ টি পরিবারে সব শ্রেণির মোট ৮১২ জন কার্ড উপভোক্তাদের সকলকে শনিবার এক মাসের বরাদ্দকৃত চাল ও পনেরো দিনের আটা দেওয়া হয়েছে। কদিন পরে আবার বাকি পনেরো দিনের আটা দেওয়া হবে।’’

করিমপুর ১ বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে কাঁটাতারের সব মানুষকে এ পারে আসার ক্ষেত্রে যেহেতু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং সামাজিক দূরত্ব এড়াতে খাদ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে তাঁদের কাছে রেশনের খাবার পৌঁছে দিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Ration Char Meghna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy