প্রতীকী চিত্র
করোনা আবহে অবশেষে নড়েচড়ে বসল বহরমপুর পুরসভা। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রায় মাস ছ’য়েক পরে পুরসভার অধীন চারটি পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে সৈয়দাবাদ পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সম্প্রতী র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা টেস্ট শুরু হয়েছে বলে ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সুত্রে জানা যায়। এর ফলে সৈয়দাবাদ এলাকার ৩, ৪, ৫, ১৩, ১৮, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি বহরমপুর পুরসভার। শুরুতে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫টি করোনা টেস্ট হলেও নোডাল অফিসার পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “আগামী দিনে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দৈনিক একশো জনের করোনা টেস্ট করা হবে।” এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লালারস সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকলেও মাস ছয়েক ধরে করোনা উপসর্গ নিয়ে এলাকাবাসীদের প্রায় চার কিলোমিটার দুরের কোভিড হাসপাতালে যেতে হত। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্তমানে কোন পূর্ণ সময়ের চিকিৎসক নেই। আংশিক সময় চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন একজন চিকিৎসক। তাই বাড়ির কাছে করোনা টেস্ট হওয়ায় তাদের সময় ও পরিশ্রম দুটোই কমলেও খুশি নন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ কোলে বলেন, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও পরিষেবাই নিয়মিত নয়। আজ চিকিৎসক আছেন তো কাল কেউ নেই। এটাও কত দিন চলবে তা কর্তারাও হয়ত জানেন না।” তবে অনেকে আবার খুশিও। তাঁদের বক্তব্য, আরও আগেই পুরসভার এই কাজ করা উচিত ছিল।নোডাল অফিসার বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পূর্ণ সময়ের যে চিকিৎসক ছিলেন। তিনি কিছু দিন আগে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সে কথা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।” কেন্দ্র সরকার ২০১৩ সালে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে জাতীয় স্বাস্থ্যমিশন চালু করে। যার অন্তর্ভুক্ত জাতীয় নগর স্বাস্থ্য মিশন। এই জাতীয় নগর স্বাস্থ্য মিশনের অন্তর্গত বহরমপুর পুরসভার এই পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে আসেন এলাকার গরিব মানুষজন। ইতিমধ্যে পুরসভার চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঝকঝকে নিজস্ব ভবন থাকায় ভবিষ্যতে যক্ষ্মা, ডায়েরিয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের রক্ত পরীক্ষা, সব রোগের এক জায়গায় চিকিৎসা, সব রোগের ওষুধ এই দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে দেওয়া সম্ভব হবে বলে এই সৈয়দাবাদ পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্য তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে কাশিমবাজার পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও নেই কোন চিকিৎসক। অন্য দুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা অবস্থা সামাল দেন বলে পুরসভা সূত্রে জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy