প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণ আপাত ভাবে যতই কম দেখাক, নদিয়ার সদরশহর যে আদৌ নিরাপদ নয়, তা নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। কৃষ্ণনগরের কাঠুরিয়াপাড়ায় আরও এক জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলায় সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়ে গেল। এই নিয়ে কৃষ্ণনগর শহরে দু’জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল। সেই সঙ্গে বীরনগরেও এই প্রথম এক করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
এর আগে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্যানসার আক্রান্ত এক মহিলা। কাঠুরিয়াপাড়ায় যাঁর সন্ধান মিলেছে, তিনিও এক মহিলা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার ছেলে মুম্বইয়ে একটি জিনসের পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। মহিলা ছেলের সঙ্গে সেখানেই থাকতেন। দিন সাতেক আগে তাঁরা ট্রেনে হাওড়া স্টেশনে নামেন। সেখানে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেন।
বাড়িতে ওই মহিলার স্বামী আর মেয়ে থাকতেন। মা-ছেলের ফিরে আসার খবর জানতে পেরে প্রশাসনের লোকজন গত ২৩ জুন তাদের স্টেডিয়ামে নিয়ে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করায়। সেই সময়ে তাঁরা গৃহ নিভৃতবাসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলার লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তার পরই তাঁকে গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার স্বামী ও ছেলেমেয়েকে নিভৃতবাস কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন এক জনকে চিহ্নিত করে তাঁকেও নিভৃতবাস কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। মহিলার শ্বাশুড়ির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই পরিবারের আশপাশের পাঁচটি বাড়ি নিয়ে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ করা হয়েছে। ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে।
বীরনগর শহরে এই প্রথম এক পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি গত ১৯ জুন মহারাষ্ট্র থেকে ফেরেন। তাঁকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিভৃতবাস কেন্দ্রে রাখা হয়। তাঁর সঙ্গে আরও সাত জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ এলেও বাকিদের নেগেটিভ এসেছে। নিভৃতবাস কেন্দ্রটি স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে আগেই ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। বাকি ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। কাঠুরিয়াপাড়ায় আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে বাড়িতে একা পড়ে গিয়েছে তিনটি স্পিৎজ় কুকুর। প্রশাসন বাড়িটি সিল করে দেওয়ায় তারা ভিতরেই আটকে রয়েছে। শুক্রবার প্রশাসনের তরফে তাদের খাবার আর জল দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা অন্যতম প্রশাসক অসীম সাহা বলেন, “একটি অসরকারি সংস্থার সহায়তায় কুকুরগুলিকে বাদকুল্লায় এক জনের কাছে রাখতে পাঠানো হচ্ছে। বাড়ির লোক না ফেরা পর্যন্ত সেখানে আরও কয়েকটি কুকুরের সঙ্গে তারা থাকবে।“ শহরে দ্বিতীয় আক্রন্তের সন্ধান পাওয়ার পরে নাগরিকদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “করোনাকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা যাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy