Advertisement
E-Paper

করোনা রোগী পালালেন, ভয়

বৃহস্পতিবার তেহট্ট-২ ব্লকের বাউর গ্রামে স্থানীয় এমএসকে স্কুলের নিভৃতবাস কেন্দ্রে ছিলেন ওই পরিযায়ী শ্রমি

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ ০২:৩৬
Share
Save

নিভৃতবাস কেন্দ্র থেকে পালিয়ে সোজা গ্রামে গিয়ে উপস্থিত করোনা রোগী! তা নিয়ে তোলপাড় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার তেহট্ট-২ ব্লকের বাউর গ্রামে স্থানীয় এমএসকে স্কুলের নিভৃতবাস কেন্দ্রে ছিলেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁর বাড়ি বকুলতলা মসজিদের কাছে। বুধবার রাতে তিনি পালিয়ে বাড়ি চলে যান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে কল্যাণী কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং তাঁর বাড়ির ১৭ জনকে তেহট্ট আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়। ওই শ্রমিকের পাড়া কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে তিনি তেহট্ট ১ ও তেহট্ট ২ এবং চাপড়ায় ৬ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানান। এবং ৬ জনের মধ্যে এক জনের পালিয়ে যাওয়ার কথা প্রকাশ করেন। জানান, পলাশিপাড়ার বাউর গ্রামে দিল্লি ফেরত এক পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই স্কুল ছেড়ে বাড়ি পালিয়ে যান। এই ধরনের কাজ করে অন্যদের বিপদে ফেলার থেকে তিনি সকলকে বিরত থাকতেও বলেন। জানান, ওই এক জন পজিটিভ ব্যক্তি পালিয়ে বাড়ি যাওয়ায় তাঁর বাড়ির গোটা এলাকাকে কন্টেনমেন্ট করা হয়েছে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।

তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নিভৃতবাস কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। স্থানীয় সূত্রের খবর, পলাশিপাড়ার ধাওয়াপাড়ায় নিভৃতাবাসে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য স্থানীয় মানুষ একাধিক বার প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকেরা সেখানে স্কুলের নিভৃতাবাস থেকে যখনতখন বেরিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন, দোকান থেকে চা কিনে খাচ্ছেন, কেউ কেউ আবার ইচ্ছামতো বাড়ি চলে যাচ্ছেন। সারা দিন গ্রামে কাটিয়ে রাতে নিভৃতাবাসে ফিরে আসছেন। এই ধরনের নানান অভিযোগ এসেছিল ওই এলাকা থেকে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘প্রশাসনিক নজরদারি ভালই রয়েছে। ওই স্কুলে সিভিক ভল্যান্টিয়ার মজুত ছিল। তা সত্ত্বেও রাতের অন্ধকারে হয়তো ওই শ্রমিক পালিয়েছেন। তবে এলাকার স্কুলগুলির কোয়রান্টিন সেন্টারে পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’’

Coronavirus in West Bengal Quarantine Center

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}