বেপরোয়া: ব্যস্ত রাস্তায় অবাধ যাতায়াত ট্রাক্টরের। নিজস্ব চিত্র
বালিয়া নেতাজি সঙ্ঘ গ্রন্থাগারে হাজার কুড়ি বই রয়েছ। যার অনেকগুলিই দুষ্প্রাপ্য। অথচ কর্মীর অভাবে সেটি অচলাবস্থার মুখে পড়েছে। একজন গ্রন্থাগারিক তিন দিনের জন্য আসেন।
স্বদেশ দাস, বালিয়া
প্রধান: পঞ্চায়েতের তরফ থেকে গ্রন্থাগার দফতরের পদস্থ কর্তাদের জানানো হবে যাতে কর্মীর অভাব মিটিয়ে অচলাবস্থা কাটানো যায়।
বালিয়া মোড়ে একাধিক মাধ্যমিক, প্রাথমিক, নার্সারি স্কুল, ব্যাঙ্ক। রাস্তার উপর গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান। তার মধ্যেই বেপরোয়া ভাবে চলছে মাটি বোঝাই লরি। পঞ্চায়েত হস্তক্ষেপ করুক যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
অসিত দাস, বালিয়া
প্রধান: স্থায়ী ভাবে এটা বন্ধ হওয়া দরকার। বালিয়া মোড় অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। এখানে যাতে সারা দিন সিভিক কর্মীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত থাকে পুলিশকে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
রামনগর ও গোপালপুরে দু’টি করে রিভার লিফট ইরিগেশন প্রকল্প চালু ছিল। এতে দামোশ বিল থেকে সেচের জল পেত চাষিরা। প্রায় ১০ বছর ধরে সবগুলি পাম্পই অচল হয়ে যায়। ফলে এলাকায় সেচের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।
সরোজকুমার দাস, রামনগর
প্রধান: প্রকল্পগুলি আবার চালু করা সম্ভব কিনা বিডিওর সঙ্গে আলোচনা করে দেখব।
বালিয়া গ্রামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রয়েছে। রয়েছে এটিএমও। কিন্তু সন্ধে নামলেই ব্যাঙ্ক এটিএমের ঘরে তালা দিচ্ছে। তা হলে এটিএম থাকার মানে কী?
অসীমকুমার দাস, বালিয়া
প্রধান: অনেকের থেকে এই অভিযোগ পেয়েছি। কিছুদিন আগে এটিএম ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়। তারপরেই হয়তো ব্যাঙ্ক এটা করেছে। ওই ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব, যাতে এটিএম ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হয়।
গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। নেই কোনও সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সও। স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১৫ কিলোমিটার দূরে। এলাকার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা প্রসূতিদের প্রসবের জন্য অন্তত ২৪ ঘণ্টার একটি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা জরুরি।
অনিতা মণ্ডল, বিষ্ণুপুর
প্রধান: বহু ক্ষেত্রেই বাড়িতে প্রসব হয় প্রসূতিদের। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির পাশেই একটি ২৪ ঘণ্টার মাতৃসদন পরিষেবা গড়ে তোলা গেলে মহিলারা খুব উপকৃত হন। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা হবে।
পানীয় জলের সঙ্কট একটা বড় সমস্যা এই এলাকায়। পাশেই ভাগীরথী, দামোশ বিল। অথচ পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই কোথাও। নলকূপগুলিতেও সব সময় জল ওঠে না।
শিলিপ দাস, কালিয়াডাঙা
প্রধান: খুব শীঘ্রই পানীয় জলের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বালিয়াতে। নবগ্রামের একটি অংশও পানীয় জল পাবে।
বালিয়া থেকে কুঠিপাড়া পর্যন্ত ভাগীরথীতে ভয়াবহ ভাঙন চলছে। বালিয়াও ভাঙনে বিপন্ন হবে যদি এখন থেকে তা না ঠেকানো যায়।
ধনঞ্জয় দাস, রামনগর
প্রধান: পঞ্চায়েত ভাঙনের কথা সেচ দফতরকে জানিয়েছে। শুনেছি সাগরদিঘিতে ১৬০৫ মিটার ভাঙন রোধের কাজ অনুমোদন হয়েছে।
উপলাই বিলের দু’ধারে প্রচুর সব্জি চাষ হয়। বিলের জল এক সময় সেচের কাজে আসত। সেই বিল মজে এখন জল শূন্য। বিল খনন করলে ফের সোনা ফলবে এই এলাকায়।
প্রশান্ত ভট্টাচার্য, বালিয়া
প্রধান: বিলকে ঘিরে আইনি জটিলতা রয়েছে। বিলের বহু অংশই এখন ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড হয়ে রয়েছে। সংস্কার করতে গেলেই তাই তাঁদের থেকে বাধা আসে।
একসময় বালানগর থেকে মালদহ , কাবিলপুর থেকে বহরমপুর, কাবিলপুর থেকে মালদহ পর্যন্ত বাস চলত। এখন রাস্তা খারাপের অজুহাতে বাস আর আসে না।
বঙ্কিম দাস, পিলকি
প্রধান: এখনও দু’একটি বাস চলে। তবে রাস্তা তত খারাপ নয় যে বাস চালানো যাবে না। আমরা প্রশাসনকে জানাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy