পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনায় নাম নিয়ে বিতর্ক মুর্শিদাবাদে। নিজস্ব ছবি।
ঝাঁ চকচকে পাকা বাড়ি রয়েছে এলাকায়। বা়ড়ির পাশে রয়েছে মিষ্টির দোকানও। সেই বাড়ি ও দোকানের যিনি মালিক, তিনি সম্পর্কে পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সদ্য প্রকাশিত তালিকায় তাঁর নাম ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ব্লকের রুকুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। একই ঘটনা হরিহরপাড়া ব্লকের চোয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও। সেখানেও এক পঞ্চায়েত সদস্যার ৫ জন আত্মীয়ের নাম আবাস যোজনার তালিকায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৮ সাল থেকে শাসকদল পরিচালিত রুকুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস। ঘটনাচক্রে, ওই বছর থেকেই আবাস যোজনার জন্য আবেদন জমা পড়া শুরু হয়। ওই প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকায় প্রকাশিত হতেই দেখা গেল, শুভঙ্করের বাবা নিতাই দাসের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। তা প্রকাশ্যে আসার পরেই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ‘স্বজনপোষণ’-এর অভিযোগ তুলছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, তাঁর বাবার নাম কী ভাবে ওই তালিকায় ঠাঁই পেল, তা তিনি জানেন না। তাঁর কথায়, ‘‘ভুলবশত নাম উঠে থাকতে পারে। ঘর পেয়েছি কি না, সেটা দেখা হোক!’’
একই ভাবে, চুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা ফতিমা বিবির শ্বশুর, কাকা-সহ ৫ জন আত্মীয়ের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন— জায়েদ আলি, ফকির শেখ, জাহানারা বিবি, জসমিনা খাতুন, শামসুল শেখ। অভিযোগ, তাঁদের প্রত্যেকেরই পাকা বাড়ি রয়েছে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁদের নাম উঠল তালিকায়, সে প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান মুরশিদা খাতুন বলেন, ‘‘সমীক্ষার পর তাঁদের আর্থিক অবস্থার নিরিখে তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এখন আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হলে তার দায় পঞ্চায়েতের নয়।’’
এই দুই বিতর্ক প্রসঙ্গেই হরিহরপাড়ার বিডিও রাজা ভৌমিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আশাকর্মী ও আইসিডিএস কর্মীরা সমীক্ষা করেছেন। যে সব ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, আমি নিজে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। অনুপযুক্ত ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকবে না, তা নিশ্চিত করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy