—প্রতীকী চিত্র।
চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন করে পাঠায়নি রাজ্য। অথচ বুধবারের মধ্যেই সমস্ত আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দেশ এসেছে ব্লক নেতৃত্বের কাছে। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই সংশয় চলেছে দিনভর।শেষ পর্যন্ত অঞ্চল ও ব্লক থেকে যে প্রস্তাবিত তালিকা জেলার মাধ্যমে রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল, তা অনুযায়ী মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা। তালিকার বাইরেও বেশ কিছু মনোনয়ন জমা পড়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। শেষ পর্যন্ত কে বা কারা দলের টিকিট পাবেন তা নিয়েও সংশয় রয়ে গিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি তৃণমূল। দল সূত্রের দাবি, দুপুরের দিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে ফোন করে অনেককে প্রার্তী হতে বলা হয়েছে। সেই মতো তাঁরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সময়ের অভাবে অনেকে আবার প্রার্থিপদ পাওয়ার কথা জেনেও এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। শুধু তা-ই নয়, গোটা বিষয়টি তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রের দাবি।
সোমবার থেকে বিরোধী দলগুলি মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করলেও তৃণমূল কার্যত রাজ্য থেকে অনুমোদন হয়ে আসা চূড়ান্ত তালিকার অপেক্ষায় বসে ছিল। কিছু মনোনয়ন জমা পড়লেও তা ছিল অন্যদের তুনায় অনেকটাই কম। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে যেখানে বিজেপির ২২৬৯ জন, সিপিএমেের ১৭১১ জন ও কংগ্রেসের ২৭৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তৃণমূলের দিয়েছেন মাত্র ৪৫৯ জন। পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি ৩৩১টি, সিপিএম ২৭২টি, কংগ্রেস ৩৭টি ও তৃণমূল ৪৬টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। জেলা পরিষদে বিজেপি ৪টি, সিপিএম ৩৭টি, কংগ্রেস ৫টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। সে দিন পর্যন্ত তৃণমূল একটি জেলা পরিষদ আসনেও মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলা নেতারাও জানতেন না যে শেষ পর্যন্ত কারা জেলা পরিষদের প্রার্থী হচ্ছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদ নিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের নাম জানানো হলেও গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তালিকা রাজ্য থেকে পাঠানো হয়নি। পঞ্চায়েত ও ব্লক থেকে যে প্রস্তাবিত তালিকা অভিষেকের দফতরে পাঠানো হয়েছিল তা মেনেই মনোনয়ন জমা পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্লক নেতৃত্বকে ফোন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ব্লক বা অঞ্চলের তালিকায় নাম না থাকা সত্বেও কেউ কেউ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অনেকে আবার ডিসিআর কেটে রেখেছেন। ফলে টিকিট কারা পাবেন তা নিয়েও কর্মীদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। কৃষ্ণনগর ১ ব্লক সভাপতি কার্তিক ঘোষ বলেন, "টিকিট কারা পাবে সেটা দলই ঠিক করবে।"
আর নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা কমিটির চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, "একটা তালিকা তো আমাদের কাছে আছেই। তা অনুযায়ীই মনোনয়ন জমা দেওয়া হচ্ছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy