আহত বি জে পি কর্মী অপর্ণা দাস। নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হসপিটালে। ছবি : সুদীপ ভট্টাচার্য।
এক মহিলা প্রার্থী-সহ বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থী ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানার ভাতজাংলা এলাকার ঘটনা। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জখম অবস্থায় বিজেপি মহিলা প্রার্থী, তাঁর বাবা এবং এক বিজেপি কর্মীকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মী এবং বিজেপি প্রার্থীর উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বুধবার রাতে আনুমানিক সাড়ে ১০টা এগারোটা নাগাদ ভাতজাংলা এলাকায় বিজেপি কর্মী কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের উপরে হামলা করা হয়। ওই ঘটনায় অভিযোগ তৃণমূলের প্রার্থী বিজন মজুমদার-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণপদ বলেন, ‘‘ওই এলাকায় এ বার যিনি জিতেছেন, তৃণমূলের সেই বিজন মজুমদার এবং তাঁর ছেলে আমায় ঘিরে ধরে বলতে থাকেন— কেন তাঁদের হয়ে নির্বাচনে কাজ করিনি। আমি জানাই আমি বিজেপি করি, তৃণমূলের হয়ে কাজ করব কেন! এর পরেই আমায় মারধর শুরু করেন।’’ পরে ওই তৃণমূল কর্মীরা এলাকার বিজেপি মহিলা প্রার্থীকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। বিজেপির ওই মহিলা প্রার্থী গত বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তবে এ বার তিনি হেরে যান তৃণমূল প্রার্থীর কাছে। জখম অবস্থায় দুই জনকেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে একে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বলে দাবি করেছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগর ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কার্তিক ঘোষ বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় আমাদের কেউ যুক্ত নন। ঘটনাটি বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।’’
অন্য দিকে, বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক জন মহিলা। সেখানেও মহিলা প্রার্থী নিরাপদ নন। কোন আইনের শাসন চলছে, তা মানুষ বুঝছে। মানুষই এর জবাব দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy