৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য মুর্শিদাবাদে যাঁদের জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকলে, ২০১৩ সালের নতুন আইন অনুযায়ী তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাওয়া কি না, তা বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মেহেদিপুর, হাসানপুর, বেলডাঙা-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। রাজ্য সরকার ওই প্রকল্পের ‘নোডাল এজেন্সি’। কেন্দ্রীয় সরকার জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকাও দিয়ে দেয়। বেশ কয়েকজন জমিদাতা আরও বেশি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত বছর হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।
তেমন কয়েকজন জমিদাতাদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ‘ফেয়ার কমপেনসেশন’ আইন (কেন্দ্রীয় আইন) অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নতুন আইনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁরা ক্ষতিপূরণ পাননি, তাঁরা যদি শহরাঞ্চলের বাসিন্দা হন, তাহলে ক্ষতিপূরণের মোট মূল্যের দু’গুন টাকা দিতে হবে। জমিদাতারা গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা হলে, ক্ষতিপূরণেপর মোট মূল্যের চার গুন টাকা দিতে হবে।
এ ছাড়া, জমিদাতাদের পরিবার পিছু একজনকে সম্প্রসারণ প্রকল্পে চাকরি দিতে হবে। অথবা পরিবারের একজনকে ২০ বছর ধরে মাসিক দু’হাজার টাকা, নচেৎ এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। আইনজীবী অরিন্দমের দাবি, তাঁর মক্কেলদের অনেকেই ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে আইনজীবী দীপঙ্কর দাস এ দিন জানান, ওই প্রকল্পে মুর্শিদাবাদ জেলায় যাঁরা জমি দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের টাকা ২০১০ সালেই রাজ্য সরকারকে দিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের টাকা বেশ কয়েকজন জমিদাতা নিয়েও নিয়েছেন বলে দীপঙ্করবাবুর দাবি। তিনি বলেন, ‘‘আদালত জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরা ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি বা নেননি, নতুন ক্ষতিপূরণ আইন (২০১৩ সালের) অনুযায়ী তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে।’’
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশের কপি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy