—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সাগরদিঘিতে মন্দির থেকে গঙ্গায় যাওয়ার রাস্তা গড়তে জমি দান করল এলাকার পিয়ারুল শেখের ২৪ শরিকের পরিবার। উচ্ছ্বাসে ভরে উঠল চালতাবাড়ি গ্রাম। চলল মিষ্টি মুখ।
সাগরদিঘির চালতাবাড়িতে প্রাচীন এই দুর্গা মন্দির। পাশেই কালী মন্দির। আশপাশ এলাকার শয়ে শয়ে মানুষের গঙ্গায় যাওয়ার এই এক মাত্র পথ। চালতাবাড়ি, সিংহশ্বরী, দস্তুরহাট, বালানগর, চণ্ডীগ্রাম সহ ১০-১২টি হিন্দু প্রধান গ্রামের মানুষ এই জমির উপর দিয়েই গঙ্গায় স্নানে যান। পুজো ও উৎসবের দিনে স্নান করতে আসেন কয়েক হাজার মানুষ। নবান্নের দিনে উপচে পড়ে ভিড় গঙ্গা পাড়ে। এলাকার সমস্ত প্রতিমা গঙ্গায় বিসর্জন করতে যেতে হয় এই পথে।
কিন্তু লিখিত ভাবে রাস্তাটা ছিল পিয়ারুল শেখের পরিবারের হাতে। দশ ফুট বাই একশো ফুটের এই জমি পিয়ারুল শেখরা এ বার গ্রামের দুর্গামন্দিরের নামে লিখে দিলেন, যাতে সর্বসাধারণ তা ব্যবহার করতে পারেন। এ বার ওই জমি দিয়ে পঞ্চায়েত রাস্তা করতে পারবে। পঞ্চায়েত সদস্য সেই আশ্বাস দিয়েছেন।
বালাগাছির পিয়ারুল শেখ বলছেন, “বাপ ঠাকুর্দারাও বলে যান রাস্তাটা দিতে। হচ্ছিল না সময় সুযোগের অভাবে। রাস্তাটা যে গ্রামের মানুষের দরকার সেটা বংশের সবাই জানেন। তাই এ দিন লিখিত ভাবে গ্রামবাসীদের গঙ্গায় যাওয়ার জন্য এই রাস্তাটা ছেড়ে দেওয়া হল।”
কিছুটা জমি বিক্রি হয়েছে। সেন্টু শেখ বলেন, “যাঁরা এই জমি কিনতে চেয়েছিলেন তাঁরা চেয়েছিলেন সবটাই। কিন্তু গ্রামবাসীদের কাছে কথা দিয়েছি আমরা, গঙ্গাস্নানের কাজে ব্যবহার হবে সে জমি। সেই জমি আমরা দান করব, বিক্রি নয়। তাই খুশি মনেই সব শরিক মিলে জমিটা গ্রামবাসীদের লিখে দেওয়া হল। মিলে মিশে থাকাটাই জরুরি।”
পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের বিজেন কুমার মণ্ডল বলেন, “জমির সমস্যা মেটায় এখন এই জমিতে রাস্তা তৈরির প্রকল্প জমা দেব। সেই সঙ্গে গঙ্গায় একটি স্নানের স্থায়ী ঘাট তৈরি করা হবে। এতদিন তা করা যায়নি জমির লিখিত মালিকানা না থাকায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy