ইদের অনুষ্ঠানে কী গান বাজানো হবে তা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রেজিনগর। দু’পক্ষের মারপিটে জখম হয়েছেন স্থানীয় দুই যুবক। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে প্রহৃত হন তিন পুলিশ কর্মীও। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় পুলিশ রেজিনগরের বাসিন্দা মানোয়ার শেখ ও হাসেম শেখকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার বহরমপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, রেজিনগরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সেখানে যাতে আর কোনও অঘটন না ঘটে তার জন্য পুলিশি টহল চলছে। তবে স্থানীয় ক্লাবের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের ইদের অনুষ্ঠান ওই গণ্ডগোলের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্লাবের সম্পাদক ইমামউদ্দিন শেখ বলছেন, ‘‘প্রতি বছরই আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। তবে এ বারে সব পণ্ড হয়ে গেল। গণ্ডগোল এড়াতে প্রথম দিনেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হল।’’
রেজিনগর স্টেশন লাগোয়া মাঠে আয়োজন করা হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান। দিনভর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। রাতে ছিল আতসবাজি পোড়ানো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এলাকার বহু মানুষ সেখানে ভিড়ও করেছিলেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মাইকে আধুনিক গান বাজছিল। আচমকা জনা দশেক ছেলে এসে জানায়, অন্য গান বাজাতে হবে। তারা নাচবে। প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিল।
গণ্ডগোলের সূত্রপাত সেখান থেকেই। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিরক্ত হয়ে গান বন্ধ করে দেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, গণ্ডগোলটা করেছে আসলে স্থানীয় দুই পাড়ার কিছু ছেলে। এর আগেও তারা গণ্ডগোলে জড়িয়েছে। এ দিন দু’পক্ষ ছুরি নিয়ে মারপিট করে। গুরুতর জখম হয়ে ইবাদুল্লা শেখ ও মিনারুল মল্লিক গুরুতর জখম। খবর পেয়ে পুলিশ এসে এক জনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিল। অভিযোগ, সে সময় আটক ওই যুবককে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিশকে মারধর করা হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনীশ সরকার বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy