সাজনকে নিয়ে রক্ষীরা।
বাড়িতে রয়েছে গোটা চারেক ছাগল, গরু। গ্রামের আশপাশে সে ভাবে ঘাস নেই। তাই ঘাস কাটতে কাটতে কখন যে নিজের দেশের মাটি ছেড়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন টেরও পাননি। টের পেলেন বিএসএফের অশ্বারোহী জওয়ানেরা পাশে এসে দাঁড়াতেই। জওয়ানদের দেখে চেষ্টা করেননি পালাবারও।
মুর্শিদাবাদের চরভদ্রা সীমান্তে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটা এই অনুপ্রবেশ যে নেহাতই ভুলবশত সেটা বুঝতে অবশ্য দেরি হয়নি বিএসএফের। তাই ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ৫৫ বছরের সাজান ব্যাপারিকে বাংলাদেশে নিজের বাড়িতে ফেরাল বিএসএফ।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই আটক বাংলাদেশিকে মঙ্গলবার বিকেলে বিজেবি জওয়ানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফ জানায়, ধৃতের বাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার খাজিরথা গ্রামে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বিএসএফের অশ্বারোহী বাহিনীর দুই জওয়ান প্রতিদিনের মতো সীমান্তে টহল দিচ্ছিলেন।
ঠিক তখনই তাদের নজরে আসে ভারতের জমিতে ঢুকে পড়েছে কেউ। আপন মনে তখনও ঘাস ঘাস কেটে চলেছেন তিনি। কখন যে ঘোড়ায় চেপে বিএসএফ জওয়ানরা তার পাশে এসে পড়েছে খেয়ালও করেননি তিনি। ধরা পড়ার পর হুঁশ ফেরে তার। বুঝতে পারেন ভুল করে ঢুকে পড়েছেন “ইন্ডিয়ার মাটিতে”।
তিনি বলেন, ‘‘এখানে বেড়া নেই এই সীমান্তে। চারিদিকে ঘাস, জমি, গাছপালা। একই রকম সব। তাই বুঝতে পারি না দু’দেশের ফারাকটা। বাড়ির আশপাশে সে ভাবে ঘাস নেই। নদী। সেই নদী পেরিয়েই বালির চর। ঘাসটা বেশি আছে এদিকেই। সেই জন্যই আসা। ভারতে আমার কোনও আত্মীয় স্বজনও নেই।’’
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিএসএফের কাছে স্পষ্ট হয় এই অনুপ্রবেশ নেহাতই অনিচ্ছাকৃত। এর পরই বিজেবির দৌলতপুর ক্যাম্পের অফিসারদের সঙ্গে বিএসএফের অফিসার পর্যায়ে আলোচনা বৈঠকে সাজন ব্যাপারিকে বিজেবির জওয়ানদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। রাতে বিজেবির জওয়ানরা তাঁকে বাংলাদেশে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
শুভেচ্ছা ও মানবিকতার নিদর্শন হিসেবে সীমান্তে আটক নিরীহ বাংলাদেশিদের বিএসএফ এর তরফে বিজিবির জওয়ানদের কাছে হস্তান্তর এই প্রথম নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy