উচ্চ প্রাথমিকে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের প্রথম দফার কাউন্সিলিং সম্পন্ন হল সোমবার। সেখানে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যান প্রায় ২৪ শতাংশ। ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল কাউন্সেলিং। প্রথম দফায় ৬২৪ জন চাকরিপ্রার্থী অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যান করলেন চাকরি।
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “এত সংখ্যক প্রার্থীর অনুপস্থিত ও প্রত্যাখ্যান হচ্ছে, অবিলম্বে মেধাতালিকা অন্তর্ভুক্ত অপেক্ষারত বাকি প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকার ঐকান্তিক আবেদন জানাই। আদালতের নির্দেশে মেধাতালিকা অন্তর্ভুক্ত ১৪০৫২ জন প্রার্থীর চাকরি ও বিদ্যালয়ে যোগদান সম্পন্ন করতে হবে।”
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, প্রায় ৫২১৭ জন অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন বলে এসএসসি সূত্রের খবর। তার মধ্যে প্রথম কাউন্সেলিং এ ডাকা হয়েছিল ২৫৯৫ জনকে। এর মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা ৬২৪। শতাংশের নিরিখে যা ২৪.৪ শতাংশ।
প্যানেল মুক্ত ৮৭৪৯ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানকারীর সংখ্যা ২০৬৯। অর্থাৎ সুপারিশপত্র গ্রহণ করেছে ৬৬৮০ জন।
কমিশন সূত্রে খবর, এসএসসি-র নিয়ম অনুযায়ী প্যানেলভুক্ত যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী ইতিমধ্যে সুপারিশপত্র গ্রহণ করেছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত চাকরিতে যোগ দেননি, তাঁদের সম্পূর্ণ তালিকা না-আসা পর্যন্ত ওয়েটিং লিস্টের আপডেটেড ভ্যাকেন্সি লিস্ট তৈরি করা সম্ভব নয়। নিয়ম অনুযায়ী, সুপরিশপত্র পাওয়ার পর ৪২ দিনের মধ্যে চাকরিতে যোগ দিতে হবে। যদি তা না হয়, তা হলে ধরে নেওয়া হবে, ওই পদটি শূন্য। তাই বছর শেষে হাতে থাকা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় কাউন্সেলিং শুরু করতে চলেছে এসএসসি। প্রথম দফায় মাত্র ২৯৯৫ জনকে ডাকা হয়েছে।