—প্রতীকী ছবি।
একাধিক দাবিতে অগস্ট মাস জুড়ে পথে নামছে সিপিএম। রবিবার দুপুরে বহরমপুরে দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা রাস্তায় আছি। আরও বেশি রাস্তায় নামা হবে। খাদ্যের দাবি, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে, কাজের দাবিতে, লুট হয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুণরুদ্ধারের দাবিতে আমাদের লড়াই চলবে। বাংলা যাতে মনিপুর, মধ্যপ্রদেশে না হয়ে যায়। কারণ আমরা মালদহে দেখেছি।” তাঁর দাবি, “প্রতিদিন নারী নির্যাতন হচ্ছে। গতকাল মধ্যপ্রদেশে নারী নির্যাতন হয়েছে। বিজেপি গোটা দেশে যা করছে, তৃণমূল বাংলায় তা করছে। বিরোধী শূন্য ভারত চায় বিজেপি, তৃণমূল বিরোধী শূন্য বাংলা চায়। তবে তাদের বুলডোজার রাজনীতি হোক, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হোক বা নারী নির্যাতনের হোক। আমরা সেটার বিরুদ্ধে লড়াই করব, আন্দোলনে নামব।”
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এ দিন সেলিম বলেন, “কংগ্রেস, সিপিএম কর্মী খুন হয়ে যাচ্ছে। এই জেলায় আমাদের দু’জন খুন হয়েছেন, কংগ্রেসের অনেকে খুন হয়েছেন। বাম-কংগ্রেস যাতে বোর্ড গঠন করতে না পারে সে জন্য পুলিশ, গুন্ডা, লুটেরা এক সঙ্গে নেমেছে কেনাবেচায়, ভয় দেখানো, মিথ্যা মামলা দিতে।” ত্রিশঙ্কু বহু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন এবং কংগ্রেস ও সিপিএমের অনেক সদস্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে বিজেপির দাবি প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, “সুকান্ত নিজেই জানেন না, উনি কোথায় যাবেন? বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে রাজ্যের একজনকে রাখা হয়েছে, যে হাফ তৃণমূল ও হাফ বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী কালীঘাটের বি টিম।”
‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল। আগামী লোকসভা ভোটে কি রাজ্যে তার প্রভাব পড়বে? এই প্রশ্নের উত্তরে সেলিম বলেন, “আমরা প্রথম থেকে বলে যাচ্ছি এটা কোনও নির্বাচনী জোট নয়। তৃণমূল মরে গেলেও বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না। বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে যাবে না।” ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কে তোপ দেগেছেন সেলিম। তিনি বলেন, “মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রের সরকারের। সেটা কেন্দ্র সরকার বন্ধ করেছে। রাজ্য সরকারও ডেঙ্গি নিয়ে সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না। যার জেরে ডেঙ্গির বাড় বাড়ন্ত।” এ দিন বসিরহাটে বোমায় এক শিশুর জখম হওয়ার প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, “সারা রাজ্যে তৃণমূল বোমা মজুত করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের লোকজনের বাড়ির সামনে বোমা রেখে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আজ শিশুরাও ওদের বোমার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।” সেলিমের অভিযোগ শুনে জেলা তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, “ওই দলটিই রাজ্যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় থাকতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন কথা বলছেন সিপিএমের নেতারা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy