Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

ফের জঙ্গি-যোগে দুশ্চিন্তা বেলডাঙায়

বেলডাঙা পুরএলাকার বিভিন্ন অলি, গলি, সদরে ছয় বছর আগের এনআইএ-র তদন্তের কথা বার বার ফিরে এসেছে। বেলডাঙায় একাধিকবার এসে এনআইএর আধিকারিকরা তাদের গতি বিধি সম্পর্কে খোঁজ খবর করেন।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়
বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:০৭
Share: Save:

এনআইএ ফের জেলায় প্রবেশের পরে জল্পনা শুরু হয়েছে বেলডাঙায়। গত ২০১৪ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে মারা যায় শাকিল আহমেদ। শাকিল বর্ধমান ও বেলডাঙায় বসবাস করতো। বেলডাঙার বিভিন্ন স্থান বড়ুয়া, হাটপাড়া, ফরাজিপাড়া ইত্যাদি স্থানে। সঙ্গে ছিল সোহেল মাফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লা। জঙ্গি-যোগের সন্দেহে জেলা থেকে এনআইএ-র হাতে ধৃত ৯ ব্যক্তি। এর পর বেলডাঙায় অতীত তাজা হয়েছে।

বেলডাঙা পুরএলাকার বিভিন্ন অলি, গলি, সদরে ছয় বছর আগের এনআইএ-র তদন্তের কথা বার বার ফিরে এসেছে। বেলডাঙায় একাধিকবার এসে এনআইএর আধিকারিকরা তাদের গতি বিধি সম্পর্কে খোঁজ খবর করেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে নাসিরুল্লা বাংলাদেশে নাশকতার ঘটনায় জড়িয়ে ধরা পরে। বেলডাঙায় তারা হাটপাড়া, বড়ুয়ার ফরাজিপাড়া ও পাওয়ার হাউসপাড়ায় ভাড়া ছিলেন। বেলডাঙা বড়ুয়ায় একটা মার্কেট কমপ্লেক্সে নাশকতার গোপন করতে বোরখা ঘর নাম দিয়ে, বোরখার একটা ব্যবসাও করেছিলেন। তার পাশে ফরাজি পাড়া এলাকায় গোপনে নাশকতার কাজ করতেন। বর্ধমানের খাগড়াগড়ের সঙ্গে সুতোয় জড়িয়ে গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার নাম। কারণ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই অভিযুক্ত শাকিল আহমেদ ও হাত কাটা নাসিরুল্লা দীর্ঘদিন বেলডাঙায় থেকে ব্যবসা করেছেন। তারা তাদের স্ত্রী ও সন্তানরাও এখানে যাতায়াত করতেন। শাকিল আহমেদ ও হাতকাটা হাতকাটা নাসিরুল্লা বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তারা বোরখার ব্যবসা শুরু করেন।

সে সব না জেনেই তাকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম নামের এক মুদিখানা ব্যবসায়ী। তার এই বাড়িটি গোয়েন্দারা সিল করে দেয়। এর মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন আমিনুল ইসলাম। রবিবার বড়ুয়া ফরাজি পাড়ায় দাঁড়িয়ে হজরত আলি বলেন, ‘‘২০১৪ সালে অক্টোবর মাসে ১১ দিন ধরে তদন্ত চলেছিল বেলডাঙায়। সেই দিনের কথা আজও সকলের মনে তাজা।’’ বেলডাঙা হাটপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরফাত শেখ বলেন, “জেলায় ফের এনআইএ তৎপর। খাগড়াগড় কাণ্ডে বেলডাঙার অলি গলি তল্লাশি চালিয়েছিল। তারপর তিনটি বাড়ির অংশ লক করে দেয়। এই বাড়ির অনেকেই দুঃস্থ। ছ’বছর হল। তারা যদি নির্দোষ হয় তবে বাড়িগুলো যেন ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Terrorism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy