লঙ্কেশ্বর ঘোষ যদি অপরাধ না করে থাকে তাহলে কেন ঘটনার পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবে?
বুধবার ঘুঘড়াগাছির অপর্ণা বাগ খুনের ঘটনায় দ্বিতীয় বার মামলা প্রক্রিয়ার সওয়াল জবাব চলাকালীন প্রশ্নটা তুললেন সরকার পক্ষের আইনজীবী অশোক মুখোপাধ্যায়।
অপর্ণা বাগ হত্যা মামলায় পুনরায় অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৩১৩ ধারা অনুযায়ী কৃষ্ণনগর আদালতেই ফাঁসির সাজা পাওয়া ১১ জনের বক্তব্য শোনার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। বুধবার থেকে দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শুরু হয়েছে।
কৃষ্ণগঞ্জের ঘুঘড়াগাছিতে বিতর্কিত প্রায় ২২ বিঘা জমিতে চাষ করত প্রায় ৫৪ টি পরিবার। সেখানে অপর্ণা বাগেরও জমি ছিল। সেই জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করছিল লঙ্কেশ্বর ওরফে লঙ্কা ও তার লোকজন। ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর সকালে বন্দুক, বোমা নিয়ে জমি দখল করতে আসে তারা। গ্রামের লোকজন বাধা দিতে এলে লঙ্কাদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় অপর্ণা বাগের। জখম হন শ্যামলী তরফদার, লতিকা তরফদার ও রাজীব মণ্ডল।
২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণনগর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (তৃতীয়) পার্থসারথী মুখোপাধ্যায় ১১ জনের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন। কিন্তু হাইকোর্ট সিআরপিসির ৩১৩ ধারা অনুযায়ী আসামীদের বক্তব্য শোনার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পুনরায় রায় দানের নির্দেশ দেন। সেই মতো এ দিন কৃষ্ণনগর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের (তৃতীয়) বিচারক মধুমিতা রায়ের এজলাসে প্রথমে সওয়াল করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী অশোক মুখোপাধ্যায়।
আসামীদের বিরুদ্ধে আগের রায় বহাল রাখার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে অশোকবাবু বলেন, ‘‘আদালতে এসে লঙ্কেশ্বর ঘোষের মেয়ে তাপসী পোদ্দার সাক্ষী দিয়েছে যে, তাঁর বাড়ি থেকেই পুলিশ লঙ্কেশ্বরকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে। তাহলে প্রশ্ন হল সে যদি অপরাধী না-ই হবে তাহলে কেন ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেল?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy