ছবি: সংগৃহিত।
টানা দু’দিন দোকান-বাজার বন্ধ থাকার পর বুধবার অনেকটাই স্বাভাবিক হল বেথুয়াডহরি। বিকেলে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
এ দিন সকাল থেকেই বেথুয়াডহরি বাজারের দোকানপাট খুলেছে। চায়ের দোকানে ফের আড্ডার মেজাজে দেখা গিয়েছে লোকজনকে। সচল হয়েছে যাত্রিবাহী গাড়ি, টোটো, অটো। হাসপাতাল রোডেও ওষুধের দোকান খুলেছে। গত রবিবার বিকালে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি অশান্ত হয়ে ওঠার জেরে বেথুয়াডহরি স্টেশনে দাঁড়ানো রানাঘাট-লালগোলা প্যাসেঞ্জারে ভাঙচুর চালানো হয়। কিছু দোকান ও বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। তার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা ৭২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেন। অন্য দিকে প্রশাসন তিন দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। মঙ্গলবার বিকালে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমারশাসকের ডাকা শান্তি বৈঠকে ব্যবসায়ী বন্ধ তুলে নেওয়ার কথা জানান। এ দিন চা বিক্রেতা বিনয় ঘোষ, ব্যবসায়ী সৌরেন চক্রবর্তী, ওষুধের দোকানদার ব্যবসায়ী বুলবুল হকেরা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ক্রেতাই সব। ক্রেতা এখনও কম ঠিকই, তবে সব আবার ঠিক হয়ে হবে।’’
বুধবার ধুবুলিয়ায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর গাড়িতে উঠে আচমকাই বেথুয়াডহরির পথ ধরেন সৌমিত্র। ধুবুলিয়া টিবি হাসপাতাল গেটের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁর গাড়ি আটকায় ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। প্রত্যাশিত ভাবেই পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি, তার পর ফিরে যান। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকেও মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে দেওযা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি আটকাতেই বিজেপি নেতাদের গতিরোধ করা হয়েছে।
এ দিন ধুবুলিয়ার সভায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের প্রসঙ্গ তুলে সৌমিত্র দাবি করেন, “ইডি কখনও এক দিনের নোটিসে যায় না। অনেক দিন আগেই ওরা জানিয়ে দিয়েছিল যে ১৪ তারিখ যাবে। সেই জন্যই ওই দিনটিতে এক জন (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দিল্লি গিয়েছেন আর এক জন ত্রিপুরা (মমতার ভ্রাতুষ্পুত্র অভিষেক)।”
তৃণমূলের নদিয়া উত্তর জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ পাল্টা বলেন, “বাংলার মানুষ দাঙ্গাবাজ বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সেই কারণেই ওরা এই সব ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলতে শুরু করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy