—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে নৈশভোজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। জি২০ সম্মেলন উপলক্ষে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই নৈশভোজে দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। সেখানে শাহ ও যোগীর পাশে বসে তাঁর নৈশভোজ নিয়ে কটাক্ষ করে অধীর বলেন, ‘‘নৈশভোজ অনেক বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী বয়কট করেছেন। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেখানে পৌঁছে গেলেন। কেমন টান দেখুন! আগেভাগে পৌঁছে গেলেন এবং যোগীর পাশের বসে নৈশভোজে যোগ দিলেন। অমিত শাহজিকে সঙ্গে নিয়ে।’’
ঘটনাচক্রে, শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতাই নন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও রাষ্ট্রপতির ডাকা নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন। নৈশভোজে রাজ্যসভার দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাক না পাওয়া নিয়ে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও ‘হাত’ শিবিরের এক মুখ্যমন্ত্রী (হিমাচলপ্রদেশ) সুখবিন্দর সিংহ সুখুও সেখানে গিয়েছিলেন।
রবিবার বহরমপুরের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর। বলেন, ‘‘এক টেবিলে নৈশভোজ করেছেন উত্তরপ্রদেশের খতরনাক চিফ মিনিস্টার যোগী আদিত্যনাথ, যার সমালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল ভোট কুড়োতে যায়। সঙ্গে বসে আছেন ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে বসে আছেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যোগী আদিত্যনাথ যখন মুখ্যমন্ত্রী হলেন, উত্তরপ্রদেশে থাকা বাংলার মানুষদের বাংলাদেশি সন্দেহ করে অত্যাচার করা হচ্ছিল। এখানকার মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের বাংলাদেশি বলে অত্যাচার করছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। আমি নিজে লখনউয়ে গিয়ে যোগীর সঙ্গে দেখা করি। বাঙালিদের উপর যেন অত্যাচার না হয়, তার দাবি জানিয়ে আসি। লুকিয়ে-চুরিয়ে নয়। যোগীর দফতরে গিয়ে। নবান্নে যেমন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যায়, তেমনি আমি যোগীর দফতরে গিয়ে দেখা করি । ২০১৯-এ ভোট হল। কী প্রচার চলল? অধীর চৌধুরী বিজেপি হয়ে গেল। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল! সেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আজ ওঁদের সঙ্গে নৈশভোজ করছেন!’’
পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘‘দেশের সম্মানের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন। দলের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দলনেত্রী ইন্ডিয়া তৈরি করে বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। বরং, অধীর চৌধুরীকে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। বাংলায় অধীরবাবুর অবস্থানে অনেকের মনেই বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy