ফাইল চিত্র।
শ্বশুরবাড়িতে মাস পাঁচেক আগে মৃত্যু হয়েছিল এক বধূর। তখন তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজন শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। একই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে, ওই বধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করেছেন। আচমকাই সেই বধূর শ্বশুরের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পটল ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। অভিযোগ, গলায় তার জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। বুধবার নদিয়ার থানারপাড়া থানার শিশা ঘাটপাড়া থেকে বছর পয়তাল্লিশের ছাবদার বিশ্বাসের দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, পাঁচ মাস আগে মারা যাওয়া ছোট বৌয়ের পরিবারই ছাবদারকে খুন করেছে।
এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশা ঘাটপাড়ার একটি মেলায় গিয়েছিলেন ছাবদার। আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে শিশার চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস নামে স্থানীয় পটল ক্ষেতে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি প্রথমে হাসপাতালে, পরে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিগড় জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’বছর আগে ছাবদারের ছোট ছেলে নূর সেলিমের বিয়ে হয় করিমপুর থানার এক তরুণীর সঙ্গে। পাঁচ মাস আগে সেই তরুণীর মৃত্যু হয়। বধূর পরিবার সেই সময় দাবি করেছিল, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ছাবদারের পরিবারের অভিযোগ, তাদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। মৃতের স্ত্রী নেরেফা বিবির দাবি, ‘‘বৌমার বাপের বাড়ির লোকেরা বারবার হুমকি দিত। বলত, ‘তোদের জন্য আমাদের মেয়ে মারা গেছে। তোদেরকেও শেষ করব।’ ওরাই ছাবদারকে খুন করে ফেলে দিয়ে গেছে।’’ এ ব্যাপারে অবশ্য মৃত বধূর বাপের বাড়ির বক্তব্য মেলেনি।
ছাবদারের ভাই হালিম বিশ্বাসের দাবি, ছোট বউকে খুন করা হয়নি। পরে পুলিশি তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে। সেলিমেরও বক্তব্য, ‘‘আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিচিত ক্রিমিনাল। ওরাই আমার বাবাকে মেরেছে। এ বার আমায় না মেরে ফেলে!’’ ছোট বউয়ের শ্বশুর বাড়ির চার সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাবদারের দাদা শরিফুল বিশ্বাস। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy