ভোটার তালিকায় নাম তুলতে তরুণীর কাণ্ডে শোরগোল। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আবেদন করেছিলেন তরুণী। তাঁর আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা পড়া নথি দেখে কোনও কারণে সন্দেহ হয় সরকারি কর্মীদের। তথ্য যাচাই করতেই তরুণীর ঠিকানায় গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে গিয়ে তরুণীর বাবার খোঁজ করতেই ফাঁস সব ‘চালাকি’! নথিতে তরুণীর বাবা হিসাবে যাঁর নাম রয়েছে, সেই বৃদ্ধ বেরিয়ে এসে জানান, মেয়ে তো দূরের কথা, তরুণীর নামই কখনও শোনেননি তিনি!
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ঘটনা। ভোটার তালিকায় নাম তুলতে ভুয়ো নথি জমা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত তরুণীর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও-ও। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তরুণী নথি হিসাবে জন্মের শংসাপত্র এবং আধার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিয়েছিলেন। তা খতিয়ে নির্বাচন কমিশনের লোকেরা বুঝতে পারেন, দুটোই ভুয়ো নথি। এর পরেই বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়। জন্মের শংসাপত্রটিও হরিহরপাড়ার ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাতেও দেখা গিয়েছে, ওই রকম কোনও শংসাপত্রই দেয়নি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় তরুণীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তারা এখনও তরুণীর হদিস পায়নি। যে বৃদ্ধকে বাবা হিসাবে দাবি করেছিলেন তরুণী, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাঁর অবশ্য দাবি, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। স্বরূপপুরের ওই বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁর তিন মেয়ে রয়েছে। তাঁদের সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁরা অন্যত্র থাকেন। ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড দুই-ই রয়েছে তাঁদের।
বহরমপুরের মহকুমাশাসক শুভঙ্কর রায় বলেন, ‘‘ভোটার লিস্টে নাম তোলার জন্য একটি আবেদন হয়েছে। কিন্তু জন্মের যে শংসাপত্র এবং আধার কার্ড দেওয়া হয়েছিল, ওই দু’টিই নকল। তাই বিডিও থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমরাও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy