মারা যাওয়ার ১০ বছর পর অমূল্যকুমার মোদক নামে এক ব্যক্তি ৬ শতক জমি পুনরায় ২০১৯ সালে রেজেস্ট্রি করেন। প্রতীকী ছবি।
মৃত্যুর ১০ বছর পর, ২০১৯ সালে এক ‘মৃত ব্যক্তি’ জমি রেজিস্ট্রি করালেন! এমনই এক অভিযোগ উঠে এল রানাঘাট সাব-রেজিস্টার অফিসে। অমূল্যকুমার মোদক নামে এক ব্যক্তির রেজিস্ট্রি করা জমি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামনগরের বাসিন্দা অমূল্য ১৯৯৯ সালে সুনীল মোদক, বিমল মোদক, নীলরতন মোদকদের মোট ৩৪ শতক জমি বিক্রি করেন। বার্ধক্যজনিত কারণে অমূল্য ২০০৯ সালে মারা যান। পরিজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্র নেওয়া হয়।
মারা যাওয়ার ১০ বছর পর অমূল্য ৬ শতক জমি পুনরায় ২০১৯ সালে রেজেস্ট্রি করেন! প্রতারিতদের অভিযোগ, হারান বিশ্বাস গোটা দালাল চক্রের মাথা। মূলত হারান রানাঘাট শহর ও গ্রামীণ এলাকায় একাধিক ভুয়ো ও জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের র্যাকেট চালনা করেন।
এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যেই জমির প্রকৃত ক্রেতারা নদিয়া জেলাশাসক, ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের কাছে দরবার করেছেন। ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিসের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে হারান বিশ্বাসের দলিলকে অবৈধ বলা হয়েছে। তা সত্বেও সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে এখনও সেই জমি জবরদখল করে আছেন হারান, এমনটাই অভিযোগ সুনীল কুমার মোদকের। তাঁর অভিযোগ “ভূমি রাজস্ব দফতর ইতিমধ্যেই হারানের দলিলকে নস্যাৎ করে দিয়েছে তবুও বিভিন্ন ভাবে প্রভাব খাটিয়ে সেই জমি দখল করে রেখেছেন তিনি। আমরা অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য জমি ফেরত পেতে চাই”।
জমি সংক্রান্ত ঝামেলার কথা স্বীকার করে নিয়ে অভিযুক্ত হারান বলেন, “আমি কারও জমি দখল করে নেই। যারা বলছেন মিথ্যাচার করেছেন। তবে অমূল্য মোদক আগেই মারা গিয়েছে এটা আমরা শুনেছি। বাকিটা আদালতের বিচারাধীন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy