প্রতীকী ছবি।
ব্যবসার সূত্রে নদিয়ায় এসে আট দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যক্তি। নবদ্বীপে ব্যবসায়ী যে ভাড়া বাড়িতে উঠতেন, বুধবার মিঞা পাড়া এলাকার সেই বাড়িরই মেঝে খুঁড়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম শফিউল মণ্ডল। তাঁর মৌমাছির ব্যবসা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মন্টু মণ্ডল নামে মৃতের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি খুনের কথা কবুল করার পরেই দেহ শফিউলের দেহ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। ধৃতকে বুধবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শফিউলের পৈতৃক ভিটে উত্তর চাতরায়। ব্যবসার কাজে নবদ্বীপের ভাড়া বাড়িতে এসে থাকেন। মৌমাছির মরসুম শুরু হওয়ায় এ বারও এসেছিলেন শফিউল। সঙ্গে এসেছিলেন আরও দু’জন। তাঁরাও চাতরারই বাসিন্দা। মন্টু তাঁদের মধ্যেই এক জন। গত ১১ জুলাই থেকে শফিউল নিখোঁজ ছিলেন। চাতরা এলাকার থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও ব্যবসায়ীর হদিস না মেলায় পরিবার এবং এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়, এই ঘটনার পিছনে মন্টু জড়িত। এ ব্যাপারে পুলিশকেও জানানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের সন্দেহের ভিত্তিতে মন্টুর খোঁজ করা শুরু করা হয়। গত সোমবার খবর মেলে, শফিউলের বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন মন্টু। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তল্লাশি চালিয়ে মন্টুর কাছ থেকে শফিউলের বহু নথিপত্র উদ্ধার। জেরায় সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হতেই ভেঙে পড়েন মন্টু। দাবি করেন, তিনিই শফিউলকে খুন করেছেন। খুনের পর দেহ কোথায় লোপাট করেছেন, তা-ও জানিয়ে দেন। এর পরেই বুধবার স্থানীয় পুলিশ মিঞাপাড়ার ভাড়াবাড়িতে গিয়ে মেঝে খুঁড়ে মন্টুর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের টানাপড়েনের জেরেই এই খুন। বাঁশ, লোহার র়ড দিয়ে মাথায় আঘাত করে শফিউলকে খুন করা হয়েছে। মৃত শফিউলের আত্মীয় আনসার হোসেনের দাবি, ‘‘ভাইপোকে পরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে মন্টু। ওর ফাঁসি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy