জামাইষষ্ঠীর আগে জোড়া কাতলা বিক্রি করে অনেক লাভ হবে ভেবেছিলেন মৎস্যজীবী। কিন্তু আশানুরূপ দাম পাননি বলে জানান তিনি। —নিজস্ব চিত্র।
ইলিশ নয়, জামাইষষ্ঠীর আগে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল ‘জোড়া কাতলা’। একটির ওজন ৩৪ কেজি ৯০০ গ্রাম। অন্যটির ওজন ১২ কেজি ৭০০ গ্রাম। উৎসবের মরসুমে লক্ষ্মীলাভে বেজায় খুশি মৎস্যজীবীরা। মঙ্গলবার নদিয়ার শান্তিপুরের গবারচর এলাকায় ভাগীরথী নদীর চরে পেল্লায় দু’টি মাছকে দেখতে উৎসাহীদের ভিড় উপচে পড়ে। এত বড় মাপের কাতলা শান্তিপুরের গঙ্গায় কখনও উঠেছে কি না, তা মনে করতে পারছেন না প্রবীণ মৎস্যজীবীরাও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় গৌতম বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবী ভাগীরথীতে জাল পেতেছিলেন। জালে প্রথমে একটি ১২ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের কাতলা মাছ ধরা পড়ে। খানিক পরে আরও একটা। তবে তার মাপ দেখে বিস্মিত হয়ে যান গৌতম। বিশাল আকৃতির কাতলা মাছটির ওজন দেখা গেল প্রায় ৩৫ কিলোগ্রাম।
মঙ্গলবার সকাল হতেই মাছটি দেখতে ভিড় জমে যায় নদী চরে। দাম উঠতে থাকে কাতলাটির। মাছটির চাহিদা দেখে নিলামে তোলেন গৌতম। যদিও শেষে যে দামে বিক্রি হয়েছে তা নিয়ে খুব একটা খুশি নন গৌতম। আর এক দিন পর বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী। তাই বড় লাভের আশা করেছিলেন। কিন্তু তা না হওয়ায় কিঞ্চিৎ মনখারাপ ওই মৎস্যজীবীর। বলেন, ‘‘এই মাছটির বাজারে দাম প্রায় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু অতটা দাম পেলাম না। তাই একটু খারাপ লাগছে।’’
ভাগীরথীতে মাছ ধরতে যান এখনও, এমনই এক প্রবীণ মৎস্যজীবী নকুল হালদারের কথায়, ‘‘অনেক বছর আগে আমার কাকার জালে ১৪ কিলোগ্রাম ওজনের কাতলা উঠেছিল। কিন্তু ৩৫ কিলোগ্রাম ওজনের কাতলা মাছ আগে কখনও দেখা যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy