সোনা পাচারের অভিযোগে গত ৩ মার্চ গ্রেফতার হয়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। অভিনেত্রীর গ্রেফতারিতে কন্নড় সিনেমা জগতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিমানবন্দরগুলিতে যে ধরনের নিরাপত্তা এবং নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়, সেই নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে সোনা পাচার করছিলেন অভিনেত্রী? গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৪ কেজি ৮০০ গ্রাম সোনা-সহ গ্রেফতার হন রান্যা। যার আন্তর্জাতিক বাজারদর প্রায় ১৩ কোটি টাকা।
কন্নড় অভিনেত্রীর গ্রেফতারির পর থেকেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে। কী ভাবে সোনা পাচার করতেন তিনি? তদন্তকারীদের দাবি, এক বছরে ৩০ বার দুবাই সফরে গিয়েছিলেন। তা হলে প্রতি বারই কি পাচারের জন্য গিয়েছিলেন? যদি পাচার করেই থাকেন, তা হলে এত দিন ধরা পড়লেন না কেন? ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) সূত্রে খবর, সোনা পাচারের জন্য বেশ কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করতেন রান্যা।
তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অভিনেত্রী ভাল ভাবে জানতেন যে, শরীরে এমন একটি অংশে সোনা রাখতে হবে যা সহজে ধরা পড়বে না। তা ছাড়া মহিলা হওয়ার কারণে তাঁর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষাও করা হবে না। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। ঊরুতে টেপ এবং ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে সোনার বিস্কুটগুলিকে বেঁধে নিতেন। গত ৩ মার্চও সেই কৌশল কাজে লাগিয়ে সোনা পাচার করছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সোনা পাচারের জন্য রান্যা বিশেষ ভাবে পোশাক তৈরি করাতেন। এমন বেশ কয়েকটি জ্যাকেট বানিয়েছিলেন তিনি, যেগুলিতে সহজেই নজর এড়িয়ে সোনা পাচার করা যায়। এমনকি বিশেষ ধরনের ‘রিস্ট বেল্ট’ পরতেন তিনি। তাতে করেও সোনা পাচার করতেন বলে তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি। ওই সূত্রের আরও দাবি, রান্যাকে পাচারে সাহায্য করার জন্য বিমানবন্দরেরই কিছু অংশ কর্মীর যোগসাজশ থাকতে পারে। প্রাথমিক ভাবে বিমানবন্দরের এক নিরাপত্তারক্ষী কনস্টেবল বাসবরাজুর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। তবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, শুধু বাসবরাজ নয়, এ কাজে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছেন। বাসবরাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।