বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বছর পনেরোর এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। নদিয়ার হরিণঘাটা থানার সুবর্ণপুর নোয়াখালি পাড়ার ঘটনা। মঙ্গলবার কিশোরীর মা হরিণঘাটা থানায় ওই চার যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার কৃষ্ণনগরে বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত উজ্জ্বল দাস, সুশান্ত মণ্ডল, সেন্টু বারিক এবং পঙ্কজ চৌধুরীদের তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত উজ্জ্বল, সুশান্ত ও সেন্টুর বাড়ি ওই থানার সিমহাট এলাকায়। বছর কুড়ির তিন যুবক পেশায় দিনমজুর। পঙ্কজের বাড়ি বর্ধমানে। বছর উনত্রিশের পঙ্কজ পেশায় গাড়ির চালক।
অন্য দিকে, কল্যাণী রেল স্টেশন থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে প্রস্তাবিত হরিণঘাটা পুরসভার সুবর্ণপুর নোয়াখালি পাড়ায় বাড়ি কিশোরীর। বাবা নেই। মা ও ঠাকুমার সঙ্গে থাকে সে। তার মা কখনও ফুলের ব্যবসা করেন, কখনও সব্জির ব্যবসা। নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে গত বছরই স্কুল ছেড়েছে ওই কিশোরী।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, উজ্জ্বলের সঙ্গে কিশোরীর পরিচয় ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় উজ্জ্বল ফোন করে ডাকলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কিশোরী। বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। শেষমেশ তাঁর মা বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় গাড়ি চালক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “মেয়েটির মোবাইলে ফোন করে প্রথমে জানতে পারি দিঘিরপাড়ে আছে। তারপর মোবাইল বন্ধ ছিল। অনেক চেষ্টা করে মিনিট পঁচিশ পরে আবার ফোনে পাই। তখন জানায় সে তালপুকুরপাড়ায় রয়েছে। সেইমতো তালপুকুর পাড়ের মাঠে গিয়ে দেখি মাটিতে বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।”
প্রতিবেশীদের সঙ্গে সোমবার রাতেই থানায় যায় ওই কিশোরী। তবে, তাঁর মা লিখিত অভিযোগ করেন মঙ্গলবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গণধর্ষণ ছাড়াও ওই চার জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফর্ম সেক্সুয়াল অফেন্স আইনের ৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে। কল্যাণীর এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।” কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে মেয়েটির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy