ভোটের দিন রাতে নাকাশিপাড়ার তেঘড়ি গ্রামে বোমা-গুলি ছোড়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে গিয়ে বোমা গুলির মুখে পড়ল পুলিশ। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে গ্রামবাসীর একাংশের সহযোগিতায় সাত দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করতে পেরেছে। তবে মূল অভিযুক্ত অধরাই।
তেঘড়ি গ্রামে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য চলছে বহু দিন। ওই গ্রামে বছর দশেক আগে পুলিশ ফাঁড়ি বসে। পুলিশের দাবি, মাস খানেক আগে লোকসভা ভোটের দিন গ্রামে বোমাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত রফিকুলও একদা অতিবামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রফিকুল শাসকদলের হয়ে ভোট ময়দানে নামে। তবে ইদানীং তার সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগও অনেকটাই শিথিল হয়ে পড়েছিল। ভোটের দিন রাতে সে তার শাগরেদদের নিয়ে তৃণমূলের লোকজনদের উপর চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। শাসকদল এ মর্মে নাকাশিপাড়া থানায় নির্দিষ্ট করে লিখিত অভিযোগও করে। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম, বদর শেখ, ইমাজুদ্দিন মণ্ডল মাসখানেক ধরে পলাতক ছিল। সোমবার পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর ছিল গ্রামেরই একটি মাঠে অভিযুক্তরা গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে তেঘড়ি ফাঁড়ির তিন কনস্টেবল অভিযুক্তদের সন্ধ্যানে বেড়িয়ে পড়েন। পুলিশকে দেখেই রফিকুল ও তার দলবল বোমা ছুড়তে থাকে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় তারা। অগত্যা ওই তিন কনস্টেবল পিছু হঠেন। তাঁরা খবর পাঠান নাকাশিপাড়া থানার ওসি’র কাছে। পরে নাকাশিপাড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ সাত জনকে ধরে ফেলে। ধৃত কাশ্মীর মণ্ডল, আয়ুব শেখ, চাঁদু শেখ, নাজির শেখ, সাজ্জাদ আলি মণ্ডল ও হীরা মণ্ডলের বাড়ি তেঘড়ি গ্রামেই। জেলা পুলিশের ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি, ভারপ্রাপ্ত) অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘সাত জনকে ধরা হয়েছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত দুষ্কৃতীদলের সকলেরই হদিশ পাওয়া যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy