ফাইল চিত্র।
রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও সরকারি কর্মীদের উৎসব অগ্রিম এবং অ্যাড-হক বোনাস ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এ বার পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসাহ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তারা। এমনকি দৈনিক ভাতার ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবকও নিয়োগ করতে পারবে পুরসভা।
স্বাস্থ্য দফতর তেমনই নির্দেশে সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (সারি) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস (আইএলআই) রোগীদের চিহ্নিত করার জন্য বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদেরই অতিরিক্ত এক হাজার টাকা উৎসাহ ভাতার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) মাধ্যমে তা জেলায় পৌঁছবে। ওই কাজের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি দেখা দিলে পুরসভা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে পারে। স্বেচ্ছাসেবকেরা দৈনিক ৭৫ টাকা ভাতা পাবেন। মাসে সর্বাধিক ২২ দিন কাজ করতে পারবেন তাঁরা। পুরসভার পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবহার করা হতে পারে।
চতুদর্শ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ থেকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেন পুর-কর্তৃপক্ষ। সেই অর্থ ব্যবহার করে অনেক জায়গায় শুকনো খাদ্যসামগ্রী (ড্রাই রেশন) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে, কমিউনিটি রান্নাঘরও খুলে ফেলেছে কোনও কোনও পুরসভা। কিন্তু কোনও ভাবেই তা করা যাবে না বলে পুরসভাকে সতর্ক করে দিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। বৃহস্পতিবার পুর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে ওই দফতর নির্দেশ দিয়েছে, ওই অর্থ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে।
কোভিড-১৯-এর সঙ্গেই ডেঙ্গি-সহ পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বিভিন্ন পুরসভা। গত দু’বছরের তথ্য অনুযায়ী ৪৩টি পুরসভা ডেঙ্গিপ্রবণ বলে চিহ্নিত করেছে পুর দফতর।
ডেঙ্গি নিয়ে মাইক্রো প্ল্যান ২০ মে-র মধ্যে পুর দফতরে জমা দিতে হবে সব পুর-কর্তৃপক্ষকেই। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘কোভিড-১৯-এর ফাঁক গলে যাতে কোনও ভাবেই পতঙ্গবাহিত রোগ মাথাচাড়া না-দেয়, সেই বিষয়ে প্রতিনিয়ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy