বিধানসভার নথিতে এখনও বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলায় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মেনে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিধানসভার খাতায় কলমে মুকুল রায়-সহ পাঁচ জন দলবদল করা বিধায়ক এখনও বিজেপি হিসেবেই রয়ে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিধানসভার কাছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যের বিধায়ক সংখ্যা জানতে চেয়েছিল। আগামী জুন-জুলাই মাসের দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেই কারণেই এই তথ্য জরুরি হয়ে পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যকে বাদ রেখে বাকি রাজ্যের বিধানসভাগুলি থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে তারা। ওই পাঁচ রাজ্যে ভোটের কারণে এখনই তাদের থেকে বিধায়কদের সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়নি। তবে বাকি রাজ্যের বিধানসভার সচিবালয় থেকে বিধায়কদের সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার কাছেও নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই তথ্য জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে বিধানসভার সচিবালয়। তাতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তৃণমূলের ২১৮ জন ও বিজেপি-র ৭৫ জন বিধায়কের হিসেব দেখানো হয়েছে। কিন্তু গত বছর ১১ জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল। তারপরেই একে একে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন বিজেপি বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। পাঁচ বিধায়ক দল ছাড়ার পর বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৭০। কিন্তু তা সত্ত্বেও, বিধানসভার নথিতে বিজেপি বিধায়ক হিসেবেই তাঁদের দেখানো হয়েছে। আর এই পাঁচ জনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকার ও আদালতে আবেদন জানিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
বিধানসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সরকারি নথিতে যে কথা রয়েছে, বিধানসভার তরফে সে কথাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। বিধানসভার সচিবালয় কাজ করে আইন মোতাবেক। সেই আইনে খাতায় কলমে বিধানসভার কাছে যে হিসেব রয়েছে, তাই বিধানসভার কাছে গ্রহণযোগ্য। অন্য কোনও তথ্য আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy