গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বর্ষার সময় ভুটান থেকে নেমে আসা নদীগুলির জলে ভাসে উত্তরবঙ্গের বিস্তৃত এলাকা। এর ফলে কৃষিজমি, চা-বাগানে ভূমিক্ষয় হয়। এ বার এই নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে নদী নিয়ন্ত্রক কমিশন নিয়ে প্রস্তাব-আলোচনা হয়। সেখানেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তোলে শাসকদল তৃণমূল। বিজেপির দাবি, এই নিয়ে আলোচনা করার অধিকার রাজ্য সরকারের নয়।
শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে নদী নিয়ন্ত্রক কমিশন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব আনেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সংবিধানের ১৬৯ ধারায় এই আলোচনা হয়। ভুটানের পার্বত্য অঞ্চল থেকে বর্ষার সময় বেশ কিছু নদী নেমে এসে ভারতে প্রবেশ করে। সেই নদীগুলি উত্তরবঙ্গে ডুয়ার্সের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়কেরা দাবি করেছেন, এই নদীর কারণে তরাই-ডুয়ার্সের জঙ্গল, কৃষিজমি, চা-বাগান ভাঙনের কবলে পড়ছে। শাসকদলের বিধায়কদের আরও দাবি, ভুটান থেকে নেমে আসা নদীর গতিপথের বিষয়ে প্রশাসন ওয়াকিবহাল নয়। এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা। তাঁদের আরও দাবি, বন্ধুদেশ ভুটানের সঙ্গে কথা বলে নদীগুলির গতিপথ নির্ধারণ করা দরকার কেন্দ্রের। ইন্দো-ভুটান যুগ্ম নদী কমিশন এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক।
বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ির দাবি, নদী নিয়ন্ত্রক কমিশন নিয়ে আলোচনা করার অধিকার রাজ্য সরকারের নয়। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, এই বিষয়ে যে আলোচনা হতে চলেছে বিধানসভায়, তা নিয়ে তাঁদের কাছে আগে নোটিস এসে পৌঁছয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘শুক্রবার বিধানসভায় এসে জানতে পেরেছি। এটা নিয়ে আলোচনা হবে, জানতাম না। বিধানসভায় এসে আলোচনা।’’ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন বিষয় লোকসভাতেও হয়। কেন আপনারা নোটিস পাননি, জানি না।’’ এর পরেই স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে কটু কথা বলি না। এই হাউজে আপনি হাউস পরিচালনা করছেন। সেটার ক্ষেত্রে আমরা দেখছি, আপনার রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ্যে আসছে।’’
মেটিয়াবুরুজের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল খালেক মোল্লার প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, রাজ্যে কত জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। আমাদের এই প্রকল্প এত সফল যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যও নকল করছে।’’ এর পরেই বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, কোন কোন বিজেপি শাসিত রাজ্য এই প্রকল্প নকল করেছে? শশী জানান, কোনও রাজ্যের নাম তিনি করবেন না। তবে অনেক বিজেপি শাসিত রাজ্য এই প্রকল্প নকল করেছে। এর পরেই বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন, ‘‘আপনারা গোয়া, ত্রিপুরায় বিধানসভায় ভোটের প্রচারে মহিলাদের ৫,০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা হলে বাংলার মহিলাদের কেন ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে না? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সাধ্য মতো দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনারাও তো অনেক প্রতিশ্রুতি দেন, সব কিছু কি পালন করেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy