রাজাবাজারে ইবি এবং টাস্ক ফোর্সের হানা। নিজস্ব চিত্র।
বাজারে শাক-সব্জির দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। পরিস্থিতি এমনই যে, আপেলের মতো দামি ফলকে হারিয়ে মহার্ঘ তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে পেঁয়াজ।
আপেলের দাম যেখানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি, সেখানে এক কিলো পেঁয়াজ মিলছে ৮০ টাকায়! গত দু’মাস ধরে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। পেঁয়াজের ঝাঁঝ এসে লাগছে সংসারে। হোটেল, ফাস্ট ফুড সেন্টারেও পেঁয়াজ ‘বাড়ন্ত’। কলকাতার ডেকার্স লেনের একটি ভাতের হোটেলে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করেন সঞ্জীব দাস। টেবিলের বাটিতে লঙ্কা-পেঁয়াজের টুকরো থাকত। ভাতের সঙ্গে ইচ্ছে মতো তুলে নিতেন বছর তিরিশের ওই যুবক। গত এক মাস হয়েছে সেই বাটি উধাও। পেঁয়াজ চাইলে হোটেল মালিক বলছেন, ‘‘রান্নায় দিতে পারছি না, ৩০ টাকার সবজি ভাতে তায় আবার আলাদা করে পেঁয়াজ!’’ শনিবার ওই হোটেলে বসেই তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা শোনাচ্ছিলেন সঞ্জীব।
বিরিয়ানি ভক্ত শান্তনু সেনগুপ্ত ধর্মতলার একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। সপ্তাহে দু’তিন বার বিরিয়ানি অর্ডার দেন নামী রেস্তরাঁয়। সাধারণত বিরিয়ানির প্যাকেটের সঙ্গে কাটা পেঁয়াজ, লেবু এবং শশা দেওয়া থাকে আলাদা করে। এ দিন শান্তনু বললেন, ‘‘বিরিয়ানির প্যাকেট থেকে পেঁয়াজ উধাও। শুধু শশা।’’
আরও পড়ুন-ধনখড়-রাজ্য সংঘাত চলছেই
অন্যান্য নিরামিষ পদ রান্নাও মহার্ঘ হয়ে উঠেছে। আলুও তো চড়া দামের দিকে এগোচ্ছে। নতুন আলুর দাম কেজি প্রতি ২৬ টাকা হয়ে গিয়েছে। চন্দ্রমুখীর দাম তার আশপাশেই। জ্যোতি আলু ২২ টাকা। এই সময় আলুর দাম এত হওয়া উচিত নয় বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। আলু ১০ থেকে ১২ টাকা, পেঁয়াজও ২০ থেকে ২৫ টাকা হলে মধ্যবিত্তের নাগালেই থাকত। কিন্তু পেঁয়াজের জোগান এবং একাংশের অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্যে পাইকারি মার্কেট থেকে খুচরো মার্কেটে আলু-পেঁয়াজের দামের হেরফের হচ্ছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে নজরদারি জোরদার করতে বলেছেন। এর পর কলকাতা সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাইকারি এবং খুচরো বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমে পড়েছেন অফিসারেরা। নজরদারির ফলে কিছুটা দাম কমেছে। কলকাতায় টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য কমল দে বলেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে শীতকালীন সব্জির ফলনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সে জন্যই সব্জির দাম এতটা চড়া। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যে নতুন সব্জি উঠবে। বাজারে জোগানও ভাল থাকবে বলে আশা করছি।’’
আরও পড়ুন- ‘অধিকারী গড়’ থেকে প্রেসিডেন্সির প্রেসিডেন্ট মিমোসা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy