গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কলকাতার কয়েকটি নামী নাটকের দলের নাম কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুদানের তালিকায় না থাকা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই গত তিন বছরের হিসাব সামনে নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সেই হিসাব জমা দিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। সেই হিসাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত তিনটি অর্থবর্ষে ‘গুরু-শিষ্য পরম্পরা’ অনুদান বাবদ বাংলার নাট্যদলগুলিকে মোট ৪৫.১১ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শেষ তিনটি আর্থিক বছরে বাংলার মোট ৭২৬টি দলের প্রধান এবং সদস্যদের প্রতি মাসে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
গত ১ অগস্ট সংস্কৃতি মন্ত্রক নতুন অনুদানপ্রাপক নাট্যদলের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ বার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে আগে অনুদান পেত এমন ১০টি দল। তবে নতুন ১৯টি দলের নাম যুক্ত হয় তালিকায়। কেন্দ্রীয় সরকার নাট্যকর্মীদের অনুদান দেওয়ার ওই তালিকা প্রকাশ করতেই ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে। উঠেছে বঞ্চনার অভিযোগও। ‘বঞ্চিত’ নাট্যদলগুলির কর্ণধারেরা সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। এ নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রককে চিঠি দেবেন বলেও ঘোষণা করেছেন তাঁরা। এরই মধ্যে অনেক আগেই রাজ্যসভায় বাংলার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের তোলা প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেওয়া হয়েছ।
প্রসঙ্গত, সংস্কৃতি মন্ত্রক আদতে কোনও নাট্যদলকে অনুদান দেয় না। দেওয়া হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রধান এবং বাছাই সদস্যদের। কোন দলের কত জন অনুদান পাবেন, তা ঠিক করে মন্ত্রক। ওই প্রকল্পকে ‘গুরু-শিষ্য পরম্পরা’ অনুদান বলা হয়। শুধু নাটক নয়, গান বা নাচের দলের সদস্যেরাও অনুদান পান। এখন নিয়ম অনুযায়ী ‘গুরু’রা মাসে পান ১৫ হাজার টাকা। আর ‘শিষ্য’রা বয়স অনুযায়ী দুই থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় জমা দেওয়া জবাবে মন্ত্রী গজেন্দ্র জানিয়েছেন, আপাতত আর অনুদানের অর্থ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। গত অর্থবর্ষে বাংলার যে ৩২৮টি গোষ্ঠীর প্রধান ও সদস্যদের অনুদান দেওয়া হয়ছিল তার তালিকাও সংসদে দিয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy