(বাঁ দিক থেকে) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নীতীশ কুমার, অমিত শাহ। ছবি: এক্স থেকে।
অমিত শাহকে সামনে পেয়ে রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে সরব হলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রবিবার পটনায় পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখোমুখি হয়েছিলেন চার রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে পূর্বাঞ্চলের চার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সরকারকে নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত বছর এই বৈঠক হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সদর দফতর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে।
এ বছর পটনায় বসেছিল পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক। সেখানেই মোদী সরকারের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’-এর সামনে রাজ্যের একঝাঁক পাওনা গন্ডা নিয়ে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা। বৈঠক সূত্রে খবর, বলার সুযোগ পেয়ে মন্ত্রী পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের পাওনা নিয়েও বক্তৃতা করেন তিনি। ১৫তম ফিনান্স কমিশনে রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে বকেয়া রয়েছে, তা যেমন নিজের বক্তৃতায় তুলে ধরেছেন। তেমনই আবার ‘ব্যাকোয়ার্ড রিজিয়নস গ্রান্টা ফান্ড’ (বিআরজিএফ)-এ রাজ্যের পাওনা ২৩০০ কোটি টাকা যে এখনও দেওয়া হয়নি তা-ও শাহকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন চন্দ্রিমা। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই সময় থেকেই আমাদের পাওনা বকেয়া রয়ে গিয়েছে। আমি এই বৈঠকে বলার সুযোগ পেয়ে সরকারের পাওনা গন্ডার কথা বলেছি।’’
এ ছাড়াও ১০০ দিনের কাজের টাকার পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার বকেয়া অর্থ নিয়েও সরব হয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে বকেয়া নিয়ে আন্দোলন করেই চলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। অক্টোবর মাসে দিল্লিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেও আন্দোলন হয়েছে। আবার আর্থিক দাবি জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। এমনকি, এ বছর এপ্রিল মাসে অভিষেকের নেতৃত্বে সাংসদদের একটি প্রতিনিধিদলও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েও দেখা পায়নি। আর এই প্রথম রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে শাহের সামনে বাংলার শাসকদলের কোনও প্রতিনিধি সরব হলেন। চন্দ্রিমার দাবি, রাজ্যের পাওনার কথা শুনেছেন শাহ। কিন্তু কোনও আশ্বাস দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy