সন্তোষ রাণা।
সিপিআইয়ের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন সন্তোষ রাণা। এই নিয়ে টানা চারবার। সন্তোষবাবু মেদিনীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক। গত লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী, অভিনেতা দীপক অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে সিপিআইয়ের জেলা সম্মেলন। সম্মেলন থেকে সন্তোষবাবু দলের জেলা সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন।
দলের এক সূত্রে খবর, আগে সিপিআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৭৩। এ বার ৭৪ হয়েছে। এরমধ্যে নতুন সদস্য ১০ জন। জেলা কমিটির ৭৪ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন মহিলা। গতবার এই সংখ্যাটা ছিল ৫। সম্মেলন থেকে দলের জেলা সহ- সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দু’জন। অশোক সেন এবং বিপ্লব ভট্ট। গত রবিবার থেকে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে শুরু হয়েছিল সিপিআইয়ের ২৩ তম জেলা সম্মেলন। ওই দিন দুপুরে প্রকাশ্য সমাবেশ হয়। পরে সন্ধ্যায় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনীপর্বে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত, সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার, মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা প্রমুখ। পরে প্রতিনিধিদের সামনে খসড়া প্রতিবেদন পেশ করেন সন্তোষবাবু। তা নিয়ে বিস্তর আলোচনাও হয়। দলের এক সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে ৪০ জন প্রতিনিধি খসড়া প্রতিবেদনের উপর আলোচনা করেন। তাঁদের মতামত জানান। মঙ্গলবার দলের নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়। পরে নতুন জেলা কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসে সন্তোষবাবুকে দলের জেলা সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করেন। সম্মেলন থেকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রাম, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম, গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন, কৃষক- ক্ষেতমজুরদের দাবিতে আন্দোলন, শিল্পের দাবিতে আন্দোলন, কর্মসংস্থানের দাবিতে আন্দোলন সহ বেশ কিছু আন্দোলন প্রস্তাবও গৃহিত হয়। সিপিআইয়ের পুনর্নির্বাচিত জেলা সম্পাদক সন্তোষবাবু বলেন, “মানুষ ভুল বুঝতে শুরু করেছেন। তাই যত আক্রমণই হোক না কেন মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছেন। সময় বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে সাহসও আসছে। আক্রমণকারীরা বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। আগামী দিনে আরও বিচ্ছিন্ন হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy