পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার বিভাগীয় নির্বাহী সহায়ক দশরথ হেমব্রমের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে নিল পুলিশ। দশরথবাবু আগে মন্ত্রীর দলীয় আপ্ত সহায়ক ছিলেন। বছর খানেক আগে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের নির্বাহী সহায়ক করা হয়েছে।
দশরথবাবুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশকর্মীকে গত শনিবার ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক দশরথবাবু। সোমবার তিনি বলেন, “আমাকে না জানিয়ে আচমকা কেন নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করা হল, বোধগম্য হচ্ছে না।” ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, “কাদের নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া প্রয়োজন তা প্রতি মাসে সমীক্ষা করে দেখা হয়। আমরা খতিয়ে দেখেছি, দশরথবাবুর আর নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন নেই।” পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জন পুলিশ রক্ষীকে নিয়ে দশরথবাবু বিভিন্ন মহলকে প্রভাবিত করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত। দশরথবাবু অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর মন্ত্রী সুকুমারবাবু জানিয়েছেন, দশরথবাবুর নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
সুকুমারবাবুর ছায়াসঙ্গী দশরথবাবুকে দু’বছর আগে মাওবাদীদের নাম করে টেলিফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই গোয়েন্দা দফতরের সুপারিশ মেনে তাঁকে সশস্ত্র রক্ষী দেওয়া হয়। বছর দু’য়েক ধরে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ কনস্টেবল সর্বক্ষণের জন্য দশরথবাবুর সঙ্গে থাকতেন। দলীয় সূত্রের খবর, নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার হওয়ার ঘটনায় দশরথবাবু তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দশরথবাবু আগে ঝাড়খণ্ড পার্টি করতেন। জঙ্গলমহলে মাওবাদী-অশান্তি পর্বে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ২০০৯-২০১১ পর্যন্ত তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের জেলা সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy